পাহাড় থেকে সাগর, বাংলা এক এবং অটুট থাকবে: BJP-র বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুংকার কুণালের

নির্বাচনে গোহারা হেরে বাংলায় প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। চলছে বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে শুক্রবার বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফাঁসিদেওয়া দু’নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাহাড় থেকে সাগর পশ্চিমবঙ্গ এক এবং অটুট থাকবে।

 

এদিনের অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ বলেন, “আপনারা এর আগে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছেন। কিন্তু তারা ক’বার উত্তরে এসেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন নেত্রী যিনি কলকাতায় থাকেন কম, জেলায় জেলায় মানুষের কাছে বারবার পৌঁছে যান। তাঁর নেতৃত্বে উত্তরের জেলাগুলিতে উন্নয়ন পৌঁছে গিয়েছে। পাহাড় হাসছে, জঙ্গলমহল হাসছে। দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে। এদিকে বিজেপি এখানকার মানুষকে উস্কানি দিচ্ছে, ওরা বলছে বঙ্গভঙ্গ চাই। যদি তাই হয়, তাহলে দেড় বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তোমাদের নেতারা যখন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছিল তখন কেন বলেননি ভোটে জিতলে বাংলা ভাগ করব? ভোটে হেরে গিয়ে এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি? জেনে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন পাহাড় থেকে সাগর পশ্চিমবঙ্গ এক এবং অটুট থাকবে।”

একই সুরে সভায় উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে কুণাল ঘোষ বলেন, “আপনাদের বেছে নিতে হবে কারা আপনার বন্ধু এবং কারা শত্রু। কারা কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষীর ভান্ডারের মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প এনে আপনাদের পাশে থাকছে। আপনাদের সংসারের খরচ কমিয়ে দিচ্ছে। এবং কারা একের পর এক খাদ্যশস্য পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ব্যাংকের সুদ কমিয়ে আপনাদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনাদের বেছে নিতে হবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কারা বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছে।” এরপরে কুণাল ঘোষ বলেন, “পাহাড় থেকে সমুদ্র যিনি বুকে আগলে রাখেন তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

এর পাশাপাশি করুণাময়ীতে আদালতের নির্দেশমতো আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেভাবে বিরোধীরা ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তা তুলে ধরে কুণাল ঘোষ জানান, “একটা বিষয় নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে বিরোধীদের তরফে। একটা আন্দোলন হচ্ছিল পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তা নিয়ে যে প্রচার হচ্ছে তাতে বিভ্রান্ত হবেন না। এটাকে হাতিয়ার করে আজ সিপিএম রাজনীতির ফায়দা তুলতে নেমেছে অথচ ত্রিপুরাতে যাদের জন্য ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি গেল তারা আজ এখানে নাটক করছে। আদালত বলেছে ওখানে ১৪৪ ধারা আছে। তাই পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে কোন রকম লাঠিচার্জ করেনি। আপনাদের লড়াইয়ে যদি আইনি জোর থাকে তাহলে আদালতে যান কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। আসলে বিরোধিরা জানে আদালতে ওদের দাবি ধোপে টিকবে না তাই অন্যায় ভাবে আন্দোলনকারীদের ভুল বুঝিয়ে ওরা নিজেদের ছবি তুলে প্রচারে ভেসে থাকছে। যদি বিজেপি ন্যায্য আন্দোলনের সমর্থনকারী হয় তাহলে এক বছর ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছিল তখন মনে ছিল না। মন্ত্রীর ছেলে গাড়িচাপা দিয়ে কৃষকদের মেরে ফেলল কোথায় ছিল এরা তখন? আজ ছেলেমেয়েগুলোকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনকে জিইয়ে রেখে ওরা আসলে নিজেদের ছবি তোলার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন- #জমি চোর বুদ্ধ: সিঙ্গুর নিয়ে বিগত বাম সরকারকে আক্রমণে টুইটার ট্রেডিংয়ের আর্জি দেবাংশুর

 

Previous article#জমি চোর বুদ্ধ: সিঙ্গুর নিয়ে বিগত বাম সরকারকে আক্রমণে টুইটার ট্রেডিংয়ের আর্জি দেবাংশুর
Next articleBreakfast news :  ব্রেকফাস্ট নিউজ