মাছ চুরি আটকাতে পুকুরে মারণ ফাঁদ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি দম্পতির

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদের পরিবার ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

দিনের পর দিন পুকুরে দামি দামি মাছ চুরি। সেই মাছ চুরি আটকাতে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ। পুকুরের চারধারে ইলেকট্রিকের তার দিয়ে বেড়ার মতো ঘিরে দিয়েছিলেন এক পঞ্চায়েত সদস্য। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু হল স্থানীয় দম্পতির। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন জামকুন্ডা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন বাপি মান্ডি ও তাঁর স্ত্রী কণিকা মান্ডি।

মৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ, বুধবার ভোর রাতে পঞ্চায়েত সদস্যের পুকুরের ধারে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন দম্পতি। এরপর হাত-পা ধুতে তাঁরা যখন পুকুরে নামেন তখনই ওই বিদ্যুৎ শরীরে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন দু’জনে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। এদিন ভোরবেলা পুকুরটির মালিক তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সৈয়দ আলি যখন পুকুড় পাড়ে যান, তখন দু’জনকেই মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অভিযোগ, এরপরই তিনি তড়িঘড়ি সমস্ত ইলেকট্রিকের তার গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদের পরিবার ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালায় সদস্যের পরিবারের সকলে। এদিকে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের পরিবার পরিজনেরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দোষী যতক্ষণ না ধরা পড়বে ততক্ষণ পর্যন্ত দেহ নিয়ে যেতে দেবেন না তাঁরা। রাস্তা অবরোধও করারও চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা (Protesters)। কিন্তু পুলিশ এসে তাঁদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর র‌্যাফ (RAF) নামিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য।