Saturday, August 23, 2025

বিগত দুবছর করোনা অতিমারির কারণে (Corona Pandemic) হোঁচট খেয়েছে দেশের অর্থনীতি (Indian Economy)। তবে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় বর্তমানে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনা আতঙ্ক এখনও মানুষের মনে টাটকা। আর সেকারণেই সাত পাঁচ না ভেবে মধ্যবিত্ত রোজগেরে মানুষ স্থায়ী বাসস্থান হিসেবে আবাসনকেই (Housing Complex) মূল টার্গেট করে সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটছেন। আবাসন ক্ষেত্রের এক উপদেষ্টা সংস্থার পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে কলকাতা ও তার আশাপাশে বাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে মোট ৫৮১৯টি বাসস্থানের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যা অগাস্ট মাসের তুলনায় ৭ শতাংশ কম হলেও চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে তৃতীয় বৃহত্তম।

পাশাপাশি সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, ২০১৫ সালের পর চলতি বছরে দেশজুড়ে আবাসন শিল্পের (Real Estate Agency) অবস্থা সবচেয়ে ভালো। করোনা সংক্রমণ কমতেই ইঙ্গিত মিলেছিল আর সমীক্ষায় সেই বিষয়টাই নতুন করে জল হাওয়া পেল। কলকাতা (Kolkata), দিল্লি (Delhi), মুম্বাই (Mumbai), চেন্নাই (Chennai), পুনে (Pune), বেঙ্গালুরু (Bengaluru) ও হায়দরাবাদ (Hyderabad), এই সাত শহরে ফ্ল্যাটের বিক্রিবাটার উপর ভিত্তি করেই সমীক্ষা করা হয়। আবাসন সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন জানিয়েছে বিগত নয় মাসে কলকাতায় যে পরিমাণ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, তা শেষ আট বছরে মধ্যে সর্বাধিক। তবে ইস্পাত, সিমেন্ট-সহ কয়েকটি কাঁচামালের দামবৃদ্ধির ফলে গত কয়েক মাসে অনেকটাই বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলিও ঋণে সুদের হার বাড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষ ভবিষ্যতের জন্য একটা স্থায়ী বাসস্থানের জন্য পয়সা খরচ করছেন।

সমীক্ষায় উঠে আসছে, কলকাতায় ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১ হাজার ৩২০টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছিল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ বিগত তিন মাসে ৪ হাজার ৩৭০টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে কলকাতায় বিক্রি না হওয়া ফ্ল্যাটের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮ হাজার, কিন্তু গত তিন মাসে তা কমে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। কলকাতার প্রোমোটাদের মতে, ২০১৬ সাল থেকে কলকাতার ফ্ল্যাটের বাজারে মন্দা নামে। আবাসন শিল্পে ২০১৭ সালে নোটবন্দি (Demonetization) বড় প্রভাব ফেলে। তবে ২০২০-এর সেপ্টেম্বর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটিতে দুই শতাংশ এবং সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ায়, আবাসন শিল্প নতুন করে অক্সিজেন পায়। গৃহঋণের (Home Loan) সুদ বাড়লেও মানুষ ফ্ল্যাট কিনছেনই। কলকাতায় ৬০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাটের বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের ফ্ল্যাটও যথেষ্ট সংখ্যায় বিক্রি হচ্ছে।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version