ভাষা সংযমটা দরকার , বিজেপিকে তোপ দেগে মন্তব্য কুণালের

বলা যেতে পারে ভাইবোনের মেলবন্ধনে সব দূরত্ব ঘুচে গিয়ে ফের উৎসবের পরিবেশ শিরোনামে।

আজ ভাই ফোঁটা । সারা রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে এই বন্ধন উৎসব। তাতে বাদ গেলেন না তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সুদূর জার্মানি থেকে ভাইকে ফোঁটা দিতে হাজির হয়েছিলেন কুণালের দিদি। বলা যেতে পারে ভাইবোনের মেলবন্ধনে সব দূরত্ব ঘুচে গিয়ে ফের উৎসবের পরিবেশ শিরোনামে।

বৃহস্পতিবার  উদয়ন গুহর মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কী কারণে কে কী বলেছেন সেটা না জেনে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে একটা কথা ঠিক , ভাষা সংযমটা জরুরী। সবার জন্য তার স্পষ্ট কথা, এখনো ভোটের বাদ্যিটাই বাজেনি। এখনই যদি এই ধরনের কথাবার্তা হয় তাহলে আগামী দিনে আমরা কী শুনবো?
বিরোধী দলনেতা যখন পুলিশের থানার সামনে গিয়ে বলেন, পুলিশ বাবা বাঁচাতে পারবো না, সেই ভাষা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে সংশয় আছে ‌।
ধারাবাহিকভাবে বিজেপি নেতারা প্ররোচনা দিয়ে যাবেন আর তার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ যদি কোনও প্রতিক্রিয়া দেন তখন সেটা নিয়ে জলঘোলা হবে এটা ঠিক নয়।
বিরোধী দল নেতা সারদা – নারদা সবকিছুতেই তো জড়িয়ে আছেন ।‌তাই ওকে বাঁচার জন্য বিজেপির কোলে দোল খেতে হচ্ছে আর অবিরাম কুৎসা করতে হচ্ছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর কথার কোনও গুরুত্ব নেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন যারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন তারা মানসিক ভারসাম্যহীন ।

কুনাল বলেন, সরকারি স্কুলে যে গুণমানের পড়াশোনা হয় তাতে বহু পড়ুয়া দেশে বিদেশে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত । সেখানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করাটা অবাঞ্ছিত। এ রাজ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা। । কেউ সাইকেল পাচ্ছে কেউ জুতো পাচ্ছে , জামা পাচ্ছে মিড ডে মিল পাচ্ছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে রাজ্য সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে এই সমালোচনা কোনোভাবেই স্পর্শ করে না।
বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুরোপুরি অন্ধকারে থেকে যেভাবে মন্তব্য করছেন তাকে কটাক্ষ করে কুণালের বক্তব্য, উনি আগে পুরোটা জানুন তারপর মন্তব্য করুন।

Previous articleনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা বাইকের, জোকায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃ*ত ১
Next articleশাহের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়