ভাইফোঁটার সকালে বাজার আগুন। দামের ঝাঁঝে শীতের আমেজেও বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে মধ্যবিত্তের কপালে। মাছ থেকে সবজি, মাংস থেকে মিষ্টি, ফল বেড়েছে সবকিছুর দাম। কিন্তু এমন বিশেষ দিন কি আর রোজ রোজ আসে! তাই অনেকে পকেটের কথা ভুলে বাজার করছেন। আবার অনেকেই বাজারে গিয়ে চড়া দাম দেখে মেনু পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।

আজ বাজারে দেড় কিলো ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে। এক কিলো ওজনের ইলিশ আবার ১২০০ টাকা কেজি। তার থেকে ছোট ওজনের মাছও রয়েছে। দাম কিছুটা কম।

ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা। তপসে ৮০০ টাকা। পাবদা ৭০০ টাকা কেজি।পারশে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা। পমফ্রেট ৭০০ টাকা কিলো। চিতলের কিলো ৭০০ টাকা।

দাম বেড়েছে সেই রুই কাতলারও। টাটকা রুই মাছ এক কেজি ওজনের বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি প্রতি। কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত ওজন অনুযায়ী।

খাসির মাংস কেজি বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তবে দাম কমেছে মুরগির মাংসের। মুরগির মাংসের দাম কমে হয়েছে ১৯০ টাকা।

শুধু মাছ বা মাংস নয়, সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া। দাম বেড়েছে নিত্যদিনের সব সবজির। কাঁচালঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি প্রতি। বেগুন ৭০ টাকা কেজি। পটল ৭০-৮০ টাকা কেজি। উচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।
এঁচোড় ১৫০-২৫০ টাকা কিলো প্রতি। ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা কিলো। বিনস ১৫০ টাকা। গাজর ৮০ টাকা। সিম ১২০ টাকা কেজি। ঝিঙ্গে ৭০ টাকা।
ফুলকপি ২০-৩০ টাকা। কুমড়ো ৩০-৪০ টাকা। পেঁয়াজ কলি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়।

চন্দ্রমুখী আলু ৪০ টাকা। জ্যোতি আলু ৩০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। রসুন ১০০ টাকা। আদা ১৬০ টাকা।
