Kottayam: সিএমএস কলেজের বার্ষিক সমাবর্তনে বাঙালি মহিলা শিক্ষাবিদকে বিশেষ সম্মাননা

দক্ষিণ ভারতে বাংলার মহিলা শিক্ষাবিদের স্বীকৃতি বা আমন্ত্রণ আরও বেশি করে প্রমাণ করে দেয় যে, দেশ ভরসা রাখে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। বাংলার মেধা, যোগ্যতা এবং সৃষ্টিশীলতা নিয়ে অতীত থেকে বর্তমান - কোনও কালেই কারোর কোন প্রশ্ন ছিল না আর ভবিষ্যতেও এই ধারাই অক্ষুন্ন থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শিক্ষার উপর আস্থা রাখছে দক্ষিণ ভারতও (South India)। তাই সুদূর কেরালার (Kerala) কলেজের গ্রাজুয়েশন সেরেমনিতে (Graduation Ceremony) বিশেষ আমন্ত্রণ কলকাতার মহিলা শিক্ষাবিদ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Soma Bandyopadhyay)। ঘটনার পর অনেকেই বলছেন, ‘বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ আগামীকাল তা ভাবে’ এই যুক্তি যেন ফের প্রমাণিত। শিক্ষা আর সংস্কৃতি (Education and Culture) যেন মিলিয়ে দেয় এক প্রান্তকে আর এক প্রান্তের সঙ্গে। দূরত্ব এক কিলোমিটারের হোক বা প্রায় ২৩৩৩ কিলোমিটারের, দুটো শহর মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সারস্বত আরাধনার অন্যতম কেন্দ্র বলে। গুণী ব্যক্তির যোগ্যতার প্রকাশ ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশান্তরে। তাইতো দক্ষিণ ভারত (South India) খুঁজে নেয় বাংলার কৃতি শিক্ষাবিদকে।

সাল ১৮১৭, ইংল্যান্ডের চার্চ মিশনারি সোসাইটি (Church Missionary Society) দক্ষিণ ভারতের কেরালায় অবস্থিত একটি শহর কোট্টায়ামে (Kottayam) তৈরি করে সিএমএস কলেজ (CMS College)। কলকাতা থেকে যার ব্যবধান কয়েক হাজার কিলোমিটার। কলকাতা আর কোট্টায়ামের সারস্বত আর সাংস্কৃতিক চর্চার বন্ধন অত্যন্ত গভীর। শুধুমাত্র কোট্টায়াম নয় সিএমএস কলেজ গোটা দক্ষিণ ভারতের কাছেই উন্নত এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার যুগোপযোগী মতাদর্শের এক ধারক বাহক। কেরালার অন্যতম এই কলেজেই অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক সমাবর্তন বা গ্রাজুয়েশন সেরেমনি। ২০২০ এবং ২০২১ এই দু বছরের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠান হল ২৮ অক্টোবর। ২৯ অক্টোবর দিনটি ২০২২ এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত। দু’দিনই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (West Bengal University of Teachers Training Education, Planning and Administration) উপাচার্য তথা ডায়মণ্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় (Soma Bandyopadhyay)। বলাই বাহুল্য পশ্চিমবঙ্গের কোনও মহিলা শিক্ষাবিদকে সেখানে এই স্বীকৃতি এই প্রথম। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমসাময়িক ডিজিটাল শিক্ষাদানের প্রসঙ্গকে তুলে ধরেন। পাশাপাশি জীবনবোধ গঠনের ওপরও জোর দেন তিনি। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দক্ষিণ ভারতে বাংলার মহিলা শিক্ষাবিদের স্বীকৃতি বা আমন্ত্রণ আরও বেশি করে প্রমাণ করে দেয় যে, দেশ ভরসা রাখে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। বাংলার মেধা, যোগ্যতা এবং সৃষ্টিশীলতা নিয়ে অতীত থেকে বর্তমান – কোনও কালেই কারোর কোন প্রশ্ন ছিল না আর ভবিষ্যতেও এই ধারাই অক্ষুন্ন থাকবে।

 

Previous articleশহুরে নকশালের পর মোদির মুখে এবার ‘কলমধারী মাওবাদী’, তুলনা বন্দুকধারীদের সঙ্গে
Next articlePetrol Diesel price: আজ পেট্রোল ডিজেলের দাম কত, জানেন কি?