ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয় সেতু, গুজরাত বিপর্যয়ে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টায় বিজেপি সরকার

গুজরাটের মাচ্চু নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন:মোদি রাজ্যে সেতু বিপর্যয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃ*তের সংখ্যা, জারি তল্লাশি অভিযান

জানা গিয়েছে, মাচ্ছু নদীর উপর যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর সেতু চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়।কিন্তু সংস্কারের পর কেন এই বিপর্যয়? এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। গুজরাটে এত বড় বিপর্যয়ের জন্য আঙুল উঠেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের দিকে।গুজরাট প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। কিন্তু ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ ছাড়াই গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয় সেতুটি।

মোরবি পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই সংস্থা তাদের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। সরকার এই সেতু সম্পর্কে তেমন কিছুই জানত না, দাবি মোরবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের।কিন্তু এখানেও আরও বড় প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে এত বড় কাজ কী করে করতে পারে বেসরকারি সংস্থাগুলি? তাও আবার বিজেপি শাসিত মোদি রাজ্যে? নাকি বিরোধীদের চাপে পড়ে দায় বেসরকারি সংস্থার ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে গুজরাট সরকার? যে দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে, সেই কাজের সমন্ধে কেন ওয়াকিবহাল নয় বিজেপি সরকার? চোখবন্ধ করে কী তবে বেসরকারি সংস্থাকেই ভরসা করেছিল তারা? গত এক দশকে ঘটে যাওয়া এত বড় বিপর্যয়ে ঘুরেফিরে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Previous articleToday market price : আজকের বাজার দর
Next articleপ্রয়াত অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী