বেআইনি ও কালো টাকা উদ্ধারের এ যেন এক প্রতিযোগিতা। এই কাজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির সঙ্গে কার্যত টক্কর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। গত ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি পর্বের পর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা শহর থেকে বেআইনিভাবে মজুত প্রায় ১০০ কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার হওয়া ওই টাকার মধ্যে ক্রিপ্টো কারেন্সিও রয়েছে।

গেমিং অ্যাপ মামলা থেকে শুরু করে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ডেরা—রাতারাতি শহরে বেআইনি টাকা উদ্ধারের মামলা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ইকোনমিক অফেন্স শাখার উপর চাপ বেড়েছে। তাই কলকাতা পুলিশকে অস্থায়ীভাবে দু’জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করতে হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তদন্তের ইতিহাসে যা কার্যত নজিরবিহীন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি’র তদন্তকারীদের বেশিরভাগ ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার। ফলে এই দুঁদে আইআরএসদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশকে টক্কর নিতে হলে পেশাদার নিয়োগ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।

প্রসঙ্গত, হরিদেবপুর এবং বেলঘরিয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে হিসেব বর্হিভূত কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপর। এরপরই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা, জালিয়াতি দমন শাখা, সাইবার ক্রাইম, প্রতারণা দমন শাখার মতো স্পেশাল সেলের গোয়েন্দারা কালো টাকা উদ্ধারে সক্রিয় হয়ে উঠেন। আর তাতেই এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের।
