বুধবার প্রায় আটঘণ্টা জেরার পর সওয়া ছ’টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এদিন ২ দফায় সুকন্যাকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হয় তাঁকে। সুকন্যাকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ইডির দ্বিতীয় সমনে দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। এর পর শুরু হয় জেরা। প্রথম পর্বে বেলা ২টো পর্যন্ত তাঁর নামে থানা বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। এর পর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট থেকে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে দ্বিতীয় পর্বের জেরা করে ইডি। সায়গলের দেওয়া তথ্য সুকন্যাকে দিয়ে খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ ইডির সদর দফতর থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। একই মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সায়গাল হোসেনও। তাঁকেও নিজেদের হেফাজতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, গরুপাচারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল সায়গলের । তাঁর মারফতই টাকা আসত অনুব্রতর কাছে। তাই সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতেই মরিয়া হয়ে সুকন্যাকে তলব ইডির।
আরও পড়ুন- গোবিন্দভোগ চালের শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি, মোদিকে চিঠি মমতার