নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশ থেকে সরে গেলেও গরুপাচার কাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই আছে দল। সেটা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ, শনিবার বীরভূমে দাঁড়িয়ে জেলবন্দি অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ। বললেন, “বাঘ না থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে। আর বাঘ ফিরে এলেই শিয়ালরা ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়”!

এরপরই রামপুরহাটের জনসভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ বলেন, “বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো। সারাজীবন আটকে রাখতে পারবে না। সেই বাঘ বেরিয়ে এলে আজকের শিয়ালরা খাঁচায় ঢুকে যাবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফিরহাদের এমন মন্তব্য খুব তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, জেল থেকে বেরোলে অনুব্রতকে বীরের সম্মান দেওয়া হবে।

এদিন লটারি প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আজ যারা হুক্কা হুয়া করছে, তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার নেই বিজেপির। লটারি কেন পেল? আরে ভাই, তোমাকে খোঁজ নিতে হবে না। ভগবানকে বল ভাগ্য ফেরাতে। এগুলোকে বলে খিল্লিপনা।”

রামপুরহাট-২ ব্লকের বিষ্ণুপুরের এই জনসভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, মলয় মুখোপাধ্যায়। ফিরহাদ একটা সময়ে দলের তরফে বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিষ্ণুপুরে সভার পর তিনি সিউড়িতে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা জেলার দুই সাংসদ, জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক এবং জেলা কমিটির পদাধিকারীরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের রণকৌশিল নির্ধারণেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অতীত নিয়ে ভাবতে নারাজ জুয়ান, জয়ই লক্ষ্য বাগান কোচের
