সরকারি অফিসে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের (Temporary Staff Recruitment) জন্য দলের কাছে প্রার্থীতালিকা (Candidate Lists) চেয়ে বিতর্ক জড়ালেন কেরলের সিপিএম নেত্রী তথা তিরুবনন্তপুরমের মেয়র আর্য রাজেন্দ্রন (Mayor Arya Rajendran)। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা মেয়রের প্যাডে লেখা। আর, তাতেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক (Controversey)। আর বিষয়টি সামনে আসার পর মেয়রের পদত্যাগের (Resign) দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত আর্য রাজেন্দ্রন জানিয়েছেন, ওই চিঠি তাঁর লেখা নয়। এমন কোনও চিঠি তিনি দলকে লিখে পাঠাননি। অন্যদিকে, যাঁকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে লেখা আছে, সেই জেলা সম্পাদক নাগাপ্পান (Anavoor Nagappan) বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমি বলব না যে ওটা জাল চিঠি কারণ, আমি এমন কোনও চিঠি এখনও অবধি দেখিনি।

তিরুবনন্তপুরমের মেয়রের লেখা এই চিঠি ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই চিঠি দলের জেলা সম্পাদক অনাভুর নাগাপ্পানকে লিখেছেন আর্য রাজেন্দ্রন। চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১ নভেম্বর। চিঠিতে লেখা আছে তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (Thiruvanthapuram) শহর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৯৫টি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের পদ ফাঁকা হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য দল প্রার্থীতালিকা পাঠাক।

তিরুবনন্তপুরমের মেয়রের সেই চিঠি নিয়েই এখন উত্তাল সেদেশের রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের (BJP) অভিযোগ, বিষয়টি সাজানো হলে এই ঘটনা কেরল পুলিশের সাইবার সেলকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ২০১৬ সালে কেরলে সিপিএম ক্ষমতায় এসেছে। তারপর থেকেই তারা দলীয় কর্মীদের পিছনের দরজা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। পরে, ব্যাপারটা কার্যত নিয়মিতই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, এটা কেরলের বেকার যুব সমাজের উপর আক্রমণ। বাম আমলে যে রাজ্যে চরম অরাজকতা চলছে, এই চিঠি তারই প্রমাণ। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে বামদের শীর্ষনেতৃত্ব জানিয়েছেন, মেয়র এখন শহরে নেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে দল প্রতিক্রিয়া দেবে। সিপিএমের এক নেতা অবশ্য জানিয়েছেন, মেয়র এই ধরনের চিঠি দিয়ে থাকলে সেটা ভুল করেছেন। এই ধরনের চিঠির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।

