সর্বশিক্ষা অভিযানে রাজ্যকে ৯৫৫ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে সরব তৃণমূল

হিসেবের খতিয়ান প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাবদই পাওনার অঙ্ক সবমিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৯৬৮.৪৪ কোটি টাকা। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের জন্য ৯৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের মূল দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানো। কিন্তু সেই টাকা না পাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ থাকছেই।

মাস তিনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বকেয়া পাওনার দাবিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। দিয়েছিলেন মোদিকে বকেয়া পাওনার হিসেবও। তালিকায় ছিল ১০০ দিনের কাজ (!00 Days Work), সর্ব শিক্ষা অভিযান (Sarva Siksha Abhiyan) সহ একাধিক বিষয়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে বকেয়ার একাংশ রাজ্যকে পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ৯৫৫ কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দীর্ঘ ৫ মাস টালবাহানার পর এই টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বশিক্ষা অভিযানের খরচ বাবদ এই টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১০০ দিনের টাকা বকেয়া নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি।

তবে এরপরই রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতির (New Education Policy) চূড়ান্ত খসড়া (Final Draft) প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশিরভাগটাই কেন্দ্রীয় জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে মিলে গিয়েছে বলে খবর। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্কুল ভবন, ক্লাসরুম তৈরি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়। কিন্তু, সমগ্র শিক্ষা মিশনের বকেয়া পাওনা বন্ধ থাকায় জেলাস্তরে নতুন শ্রেণি কক্ষ বা স্কুল নির্মাণের কাজ আটকে যায় বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়।

হিসেবের খতিয়ান প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাবদই পাওনার অঙ্ক সবমিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৯৬৮.৪৪ কোটি টাকা। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের জন্য ৯৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের মূল দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানো। কিন্তু সেই টাকা না পাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ থাকছেই। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের টাকা আদায় না হলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

তবে এদিন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, ”১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকাল। তার আগে রাজ্য বিজেপি বলল, টাকা দেবেন না। কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্ট বলল কাজে ১ নম্বর বাংলা। এটা দেখেই বিজেপির বুক ফাটল। তাই টাকা আটকানো হল। দেখল বাংলা এক নম্বরে থাকলে ভোট পাবে না। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”