অশুভ শক্তিকে রাজ্য থেকে তাড়াতে নেত্রীর হাত শক্ত করুন: আহ্বান কুণালের

কুণাল এদিন আরও বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বাড়ির সমস্ত মা, বোনেরা এক একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়েদের এই অধিকার অটুট রাখতে হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্তিশালী করে অশুভ শক্তিকে রাজ্য থেকে তাড়াতে হবে।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্ত করতে নারীশক্তিকে এগিয়ে আসার ডাক দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে চণ্ডীপুর চৌখালী বাজারের সভামঞ্চ থেকে তিনি জানান, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীভান্ডারের মতো একাধিক জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে নারীশক্তিকে অনুপ্রাণিত করলেও কেন্দ্রীয় সরকার ডিজেল, ওষুধ, গ্যাস সহ একাধিক জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে।

কুণাল এদিন আরও বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বাড়ির সমস্ত মা, বোনেরা এক একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়েদের এই অধিকার অটুট রাখতে হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্তিশালী করে অশুভ শক্তিকে রাজ্য থেকে তাড়াতে হবে।

পাশাপাশি এদিন নন্দীগ্রামের ঠিক পাশেই চণ্ডীপুর ব্লকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নন্দীগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের লোডশেডিং বিধায়ক যাদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিল, তারা এখন তৃণমূলে চলে এসেছে। নন্দীগ্রামের সেই পদ্ম অফিস এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়। এখন নিজের ঘর অটুট রাখতে বিরোধী দলনেতাকে নন্দীগ্রামে প্রচুর কসরত করতে হচ্ছে। এ ডর হামে আচ্ছা লাগা।

 

সভায় উপস্থিত রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, বিজেপি সারা বছর সাধারণ মানুষের জন্য কোন গঠনমূলক কাজ করে না। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের হয়ে কাজ করায় তারা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই সিবিআই এবং ইডি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখাতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এত বোকা নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বিজেপিকে বুঝিয়ে দেবে সিবিআই বা ইডি নয়, শেষ কথা বলে মানুষ।

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তন্ময় ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, চন্ডীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য সহ দলের একাধিক নেতা কর্মীরা।

Previous articleগোবলয়ে জয় পেলেও দক্ষিণ হাতছাড়া বিজেপির! মহারাষ্ট্রে উদ্ধব-তেলেঙ্গানায় টিআরএস
Next articleবিজেপি বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রে গলা মেলাচ্ছে গদ্দার শুভেন্দু: সুতাহাটায় তীব্র আক্রমণ কুণালের