Sunday, August 24, 2025

বিক্ষুব্ধ-নির্দল প্রার্থীকে মোদির “হুঁশিয়ারি” ফোন কল ভাইরাল! হিমাচলে টলমল করছে বিজেপি

Date:

হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। টলমল করছে বিজেপি। বিক্ষুব্ধ, বিদ্রোহী নেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গেরুয়া শিবির। খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্যে এমন বেহাল দশা। বাধ্য হয়ে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে বিক্ষুব্ধ ও নির্দল প্রার্থীদের মোদি বললেন, “আমি কিছু শুনতে চাই না। নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে যাও।”

মোদি ফোনে এমনই “নির্দেশ” দিচ্ছেন বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন এমপি কৃপাল পারমারকে।গোটা কথোপকথনটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশ জুড়ে ওই ভিডিও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কৃপাল ফোনে কিছু বলার চেষ্টা করছেন, আর উল্টোদিক থেকে নরেন্দ্র মোদি থামিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে। নির্দেশনামার সারাংশ একটাই, আগে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বাকি সব তিনি সামলে নেবেন। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রী সামান্য কে বিক্ষুব্ধ নেতাকে ফোন করলেন? কারণ, দলের টিকিট না পেয়ে কাংড়া জেলার ফতেপুর থেকে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন কৃপাল। আর শুধু তিনি একা নন, কুলুতে রাম সিং, আনিতে কিশোর লাল, নালাগড়ে কৃষাণলাল ঠাকুর, দেহরায় হোশিয়ার সিং, ইন্দোরায় মনোহর ধীমান, কিন্নরে তেজন্ত সিং নেগি—তালিকা দীর্ঘ। তাই ঘুম ছুটেছে বিজেপির। বিক্ষুব্ধদের নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর ঠেলায় পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে, আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে।

খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে ফোন করে সরে দাঁড়াতে বলতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা বলছেন, এ থেকেই স্পষ্ট হিমাচলে কতটা চাপে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে।

নির্দল প্রার্থীকে মোদির ফোন নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “মোদি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি প্রার্থীর উপরে চাপ তৈরি করছেন। ‘ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল’-এর চেষ্টা করছেন। যাতে কৃপাল ভোটে না লড়েন। এটি প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা।”

সূত্রের দাবি, বিজেপির রাজ্য নেতারা কৃপালকে বুঝিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মোদি হিমাচলে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই কৃপালের বিষয়ে জানতে পেরে এক স্থানীয় বিজেপি নেতার ফোন থেকে কৃপালকে ফোন করেন। মোদি তাঁকে ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন। তখনই প্রশ্ন করেন, “আপনার জীবনে আমার কি কোনও ভূমিকা রয়েছে? থাকলে সরে দাঁড়ান।” পাল্টা কৃপাল তাঁকে বলেন, “আপনার কথা আমার কাছে ভগবানের আদেশের মতো’। দু’দিন আগে ফোন এলে ভাল হত বলেও অনুযোগ করেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নড্ডা তাঁকে গত ১৫ বছর ধরে অপমান করছেন।মোদি শুনে বলেন, “সেটা আমিদেখে নেব।”

আরও পড়ুন:রাজধানীতে দূষণের মাত্রা কমতেই শিথিল বিধিনিষেধ

 

 

Related articles

আবেগঘন বার্তা দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় চেতেশ্বর পূজারার

ভারতীয় ক্রিকেট দলের বহু টেস্ট জয়ের স্বাক্ষী তিনি। বহু ম্যাচে একা হাতে ভারতকে বাঁচিয়েওছেন। এবার সেই চেতেশ্বর পূজারাই(Cheteshwar...

বিহারে এত পাক নাগরিক! জানেই না প্রশাসন

বাংলার অরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে চিৎকার করছেন অমিত শাহ। এবার সীমান্তে অমিত শাহের (Amit Shah)...

চলন্ত ট্রেনের ওপর ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, আতঙ্কিত যাত্রীরা

বড়সড় ট্রেন দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা। সঠিক সময়ে ট্রেন দাঁড় না করালে রবিবার সকালেই ঘটে যেত এক ভয়ঙ্কর...

দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশে সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী কে? রইল তালিকা

দেশে কোটিপতি মুখ্যমন্ত্রীদের ভিড়ে ব্যতিক্রম শুধু একজন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বর্তমানে দেশে সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী তিনি।...
Exit mobile version