Thursday, December 4, 2025

নাবালিকাকে অপরহরণ, ধর্ষ*ণ এবং খু*নে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিল শীর্ষ আদালত

Date:

Share post:

ধর্ষণ ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত তিন আসামির ফাঁসির সাজা রদ করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশপাশি বেনজিরভাবে তিন আসামিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ১৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়। ২০১৪ সালে দিল্লির একটি আদালত এই তিন জনকে ফাঁসির সাজা শোনায়।

আরও পড়ুন:বিলকিস বানো গণধ*র্ষণ মামলায় ১১ দোষীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে নারী অধিকার কর্মীরা

২০১২ সালে দিল্লির চাওলা এলাকায় ১৯ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে তিন অভিযুক্ত রবি কুমার, রাহুল আর বিনোদের বিরুদ্ধে। দিল্লির নিম্ন আদালতে ওই মামলায় অভিযোগকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, দিল্লি থেকে নিহত তরুণীকে অপহরণের পর অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করে। এরপর ওই তরুণীর দেহটি হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার একটি গ্রামে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। দিল্লির নজফগড় এলাকায় ধর্ষণ এবং খুনের একটি অভিযোগ দায়ের হয়। হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার একটি মাঠ থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে দেখা যায় বিভিন্ন ভারী এবং ধারাল বস্তু দিয়ে নাবালিকার শরীরের নানা অংশ আঘাত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর খুন করার তথ্যপ্রমাণ মেলে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে।

দিল্লির আদালত ২০১৪ সালের ২৬ অগস্ট এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে জানায়, রাস্তায় ঘোরা ‘শিকারি’র মতোই ‘শিকারের সন্ধানে’ থাকে এই ধরনের অপরাধীরা। তারপরই অপরহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মতো একাধিক অপরাধে রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। খুন করার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে, ভিনরাজ্যে গিয়ে দেহ লোপাট করার দায়েও দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।কিন্তু সেই দাগী আসামিদের কিসের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বেকসুর খালাস করল, সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত, গুজরাটে বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় আজীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন অভিযুক্তকে বেসকসুর খালাস দিয়েছে গুজরাট সরকার। অভিযুক্ত ১১ জন ১৫ বছরের বেশি সময় জেলে ছিল। এর মধ্যে এক অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। তারা সাজা মুকুবের জন্য গুজরাট সরকারকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালত দেয় বলে জানিয়েছেন গোধরা জেলার কালেক্টর সুজল মায়াত্র। এরপরই গঠিত কমিটি অভিযুক্ত সকলের সাজা মুকুবের সুপারিশ গুজরাট সরকারের কাছে পাঠায়। এরপরেই অভিযুক্তদের মুক্তির আদেশ দেয় গুজরাট সরকার।তবে কীকরে বিলকিস বানোর অপরাধীদের মুক্ত করা হল, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলছে। ঠিক সেইসময়ে নাবালিকাকে অপহ্রণ, ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের যখন সুপ্রিম কোর্টে বেকসুর খালাস করে দিল, তখন বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের কী সাজা শুনাবে শীর্ষ আদালত, সেটাই দেখার।

spot_img

Related articles

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...

রাস্তা তৈরি থেকে অন্যান্য পরিষেবা কেমন চলছে? নজরদারিতে বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের

রাজ্যে উন্নয়নের গতি কোনওভাবেই যেন থেমে না যায়, সদা তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর...

বৃহস্পতিবার লক্ষাধিক জমায়েত: দলনেত্রীর সম্প্রীতির বার্তা শুনতে অপেক্ষায় বহরমপুর

রাজ্যে এসআইআর পরিস্থিতি ও বিজেপির ক্রমাগত উস্কানির রাজনীতির মধ্যেই জেলা সফরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার...

আর জি কর মামলার তদন্ত শেষ, সমন পাঠানোর নির্দেশ আখতার আলিকে

আর জি কর হাসপাতালের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে বুধবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতকে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা...