রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে আরামবাগ

তবে রীতি মেনে পুজোর আয়োজনে এতটুকু খামতি চোখে পড়েনি। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে থেকেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

হুগলি জেলার প্রাচীন রাস উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম আরামবাগ (Arambag) মহকুমার সালেপুর ২ নম্বর অঞ্চলের বড়ডোঙ্গল হাটতলার রাস উৎসব (Rash Festival)। বড়ডোঙ্গল বীনাপানী নাট্য সংঘ পরিচালিত এই রাস উৎসবের প্রাচীন রীতিনীতি আজও অব্যহত। নিষ্ঠা ভরে, রীতি মেনে আজও চলে পুজোপাঠ। তবে চলতি বছর হুগলীর এই রাস উৎসব ৫০ বছরে পদার্পন করেছে। আর সেকারণেই বিশেষ অনুষ্ঠানের (Special Program) আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ।

গ্রাম্য পরিবেশে মন্ডপ সজ্জা ও আলোক সজ্জায় সজ্জিত করে রাস উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের। তবে রীতি মেনে পুজোর আয়োজনে এতটুকু খামতি চোখে পড়েনি। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে থেকেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

হুগলির বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বসেছে রাস মেলা। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হচ্ছে মহকুমার এই প্রাচীন জনপদে। রাস যাত্রা মূলত শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। রাস উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এই বিষয়ে কমিটির এক সদস্য জানান, ৯ দিন ব্যাপী এই রাস উৎসব যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সবমিলিয়ে হুগলির আরামবাগের রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো।

Previous articleকৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউস সংস্কারে বেনিয়ম! কড়া হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleফের পাঁচিল তোলা নিয়ে উত্তেজনা বিশ্বভারতীতে, স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন উপাচার্য