২০১৪ সালের শূন্য পদে চাকরি পাবেন ওই বছরের টেট(TET) উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিবেন কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ(division bench)। এর পাশাপাশি সিঙ্গেল বেঞ্চ যে ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এবং জানানো হয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।
শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি বলে থাকে আসন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মধ্যে ৩৯২৯ পদকে ধরা হয়েছে, তবে ওই বিজ্ঞপ্তি থেকে এই পদগুলিকে বাদ রাখতে হবে। এখানে শুধু ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু পরবর্তী কালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে যে, ১৬,৫০০-র মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, তখন ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটের প্রশ্ন ভুলের জেরে মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি।
এই প্রশ্ন ভুল নিয়ে নতুন করে আদালতে দায়ের হয় মামলা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩৯২৯ পদ পূরণ করতে হবে। ১১ নভেম্বর পর্ষদকে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, কাদের চাকরি দেওয়া হল। নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।