রাজ্যপালের অসহযোগিতা, নতুন ‘পথে’ তদন্তে কলকাতা পুলিশ

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করছেন না। অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিন কী ঘটেছিল সেই তথ্য জানার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে

কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করা যাবে না, রাজভবনের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যে কোনও মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করেছিলেন আনন্দ বোস। এবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সেই নির্দেশকে মেনেই শ্লীলতাহানির ঘটনায় নতুন পথে তদন্তে কলকাতা পুলিশ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তে না গিয়ে গোটা ঘটনার সত্য অনুসন্ধানে তদন্তের কথা প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। তবে কলকাতা ফিরে গোটা ঘটনা রাজনৈতিক প্রভাবিত বলে দাবি করেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস।

হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপাল আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলে রাজ্যপাল কেরালা পাড়ি দেন। সেই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত কোন পথে করা সম্ভব। এরই মধ্যে রবিবার রাজভবনের সব ধরনের কর্মীদের আনন্দ বোস নির্দেশ দেন যাতে কোনওভাবেই কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ না করেন। তিনি রাজ্যপালের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ধারা স্মরণ করিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তাতে কলকাতা পুলিশের পক্ষেও সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ সমস্যাজনক হয়ে যায়।

ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট থানার অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সেই মতো রাজভবনের কাছে সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু রাজ্যপালের নির্দেশের পরে স্বাভাবিকভাবেই রাজভবনের পক্ষ থেকে তা পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ফের সোমবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁরা কোনও ব্যক্তি বা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করছেন না। অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিন কী ঘটেছিল সেই তথ্য জানার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যদিও রাজভবনের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

তৃণমূলের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয় রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হলেও তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। মন্ত্রী শশী পাঁজা দাবি করেন, “রাজ্য়পালের কিছু ক্ষমতা আছে, সঙ্গে দায়িত্বও আছে। তার মধ্যে শ্লীলতাহানি পড়ে না। আইনের লম্বা হাত আপনাকে ধরবেই। এটা দুঃখের বিষয় যে রাজ্যপালের জন্য বাংলার বদনাম হচ্ছে। সবাই প্রশ্ন করছে কোন রাজ্যের রাজ্যপাল? আপনিই সন্দেশখালিতে গিয়ে তৃণমূলকে বড় বড় ভাসন দিয়েছিলেন।”

অন্যদিকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সোমবার কেরালা থেকে কলকাতায় ফেরেন। তিনি গোটা ঘটনা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে দাবি করেন। রাজনীতির আশ্রয় নিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল একটি অরাজনৈতিক পদ। আমার সজ্ঞানে আমি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকার চেষ্টা করেছি।” এমনকি অভিযোগের তীর যখন তাঁর দিকে তখন তিনি গোটা ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করতেও ছাড়েননি।

Previous articleরাত পোহালেই কড়া নিরাপত্তায় মুর্শিদাবাদ-জঙ্গিপুর ভোটগ্রহণ, ভগবানগোলা উপনির্বাচন
Next articleআজই তিলোত্তমায় স্বস্তির বারিধারা! কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের