সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বেড়ে ৭৭ শতাংশ! হেমন্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বিজেপির

তবে এই সংশোধনীর সুবিধা পেতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবিধানের নবম তফসিল সংশোধন করতে হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিজেপি। এই বিধির ফলে সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৭ শতাংশ হবে।

সরকারি চাকরিতে (Government Job) সংরক্ষণের (Reservations) পরিমাণ রেকর্ড বাড়াল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) হেমন্ত সোরেন সরকার (Hemant Soren Government)। রাজ্যে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী (Tribals) এবং অনগ্রসর শ্রেণীর (Backward Class) মন জয় করতেই বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল সরকার। সংরক্ষণের পরিমাণ ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৭ শতাংশ করা হয়েছে। যে কারণে অসংরক্ষিত আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৩ শতাংশে। শুক্রবার রাঁচিতে (Ranchi) বিধানসভা অধিবেশনে (Assembly Session) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই সংক্রান্ত একটি বিধি পেশ করেন। আর হেমন্তের এমন সিদ্ধান্তের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) রায় অনুযায়ী কোনওমতেই সংরক্ষণের মাত্রা ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। কিন্তু কীভাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম নির্দেশ অমান্য করে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

তবে এই সংশোধনীর সুবিধা পেতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবিধানের নবম তফসিল সংশোধন করতে হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিজেপি। এই বিধির ফলে সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৭ শতাংশ হবে। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ডেকে দুটি বিল পাশ করায় হেমন্ত সোরেন সরকার। একটি সংরক্ষণ সংশোধনী বিল এবং আরেকটি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী এবং মূলবাসী নির্ণায়ক বিল। এই দুটি বিলই বিতর্কিত। তবে সংরক্ষণের এই নতুন হার শুধু সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। সরকারি স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে আগের হারেই সংরক্ষণ থাকবে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত হেমন্তের। পাশপাশি লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে তাঁর বিধানসভার সদস্য পদ চলে গেলে সরকারের ভবিষৎ নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। তেমন হলে বিধানসভার মধ্যবর্তী নির্বাচনের পথে যেতে পারেন তিনি। আর সেকারণেই এমন সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, বর্তমানে খনি কেলেঙ্কারির জেরে মুখ পুড়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। যে কোনও সময় তাঁকে পদত্যাগও করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা। আর সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই আগেভাগে নিজের জমি শক্ত করতে তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ড সরকারের।

Previous articleহিমাচলে নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থী! ২৩ শতাংশের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা
Next articleসাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা! CAA নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও আক্রমণের মুখে মোদি সরকার