Wednesday, December 24, 2025

”বঙ্গ-বিজেপি বাঁচাতে সুব্রতকে চাই”, রাজ্য দফতরে পোস্টার নিয়ে তোলপাড় গেরুয়া শিবিরে

Date:

Share post:

বাংলায় গেরুয়া শিবিরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। সম্প্রতি, আদি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বিস্ফোরক অভিযোগ করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বর্তমানে চার-পাঁজজন নেতা বঙ্গ বিজেপিকে কুক্ষিগত করে সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে বিজেপি অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগবে। অদূর ভবিষ্যতে এ রাজ্যের বুকে বামেরা শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে। সায়ন্তনের “পত্র বোমা”র রেশ কাটতে না কাটতে ফের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিদ্রোহের ছবি প্রকট। দলবদলু, সুবিধাবাদী, নব্য নেতাদের বিরুদ্ধেই মূলত আদি বিজেপির এই বিদ্রোহ।

এবার বঙ্গ বিজেপিকে বাঁচাতে ফের দক্ষ সংগঠক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফেরানোর দাবি উঠল। এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির রাজ্য সদর দফতর ৬, মুরলীধর সেন লেনে পড়ল হোর্ডিং ও ব্যানার। যা নিয়ে তোলপাড় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

তবে এই বিদ্রোহ প্রথম নয়। সম্প্রতি সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে তাঁর ছবি ও নাম দিয়ে পোস্টার পড়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম নতুন করে গেরুয়া শিবিরে ভেসে ওঠায় তখন থেকেই জোরচর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এখন তা নতুন মাত্রা পেল।

এর আগে গতকাল, শুক্রবার নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় ”বঙ্গ-বিজেপি বাঁচাতে সুব্রতকে চাই”, এই মর্মে পোস্টার পড়েছে। কারা এই পোস্টার সেঁটেছে তা স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী শিবিরের একাংশ এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ওই পোস্টারগুলিতে সুব্রতকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের সাফল্যের অন্যতম কারিগর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত, ওই সময়ে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠনের লাগাম সুব্রতর হাতেই ছিল।

বিজেপির একাংশের মতে, বাংলায় দলের যেটুকু সংগঠন তৈরি হয়েছে, তার পিছনে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা ভোটের দোরগোড়ায় সুব্রতকে সরিয়ে অমিতাভ চক্রবর্তীকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) পদে বসায় দিল্লি। সুব্রত ফেরত চলে যান নিজের পুরোনো সংগঠন আরএসএসে। তারপর থেকেই বঙ্গ-বিজেপির দুঃসময় শুরু বলে অভিমত গেরুয়া শিবিরের একাংশের।

ফের দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে সুব্রতকে বিজেপিতে ফেরত আনার প্রয়োজনীয়তার কথা ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করছেন দলের অনেক শীর্ষ নেতাই। কিন্তু সুব্রতকে ফেরত চেয়ে বিজেপির কারা পোস্টার সেঁটেছেন সেই সর্ম্পকে নেতাদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিজে অবশ্য বলছেন, “আমি জানি না কারা এ সব করছেন। আমার সক্রিয় রাজনীতি সম্পর্কে আর বিশেষ কোনও আগ্রহ নেই। আমার সঙ্গে বর্তমান নেতাদের সে ভাবে কথাও হয় না।”

spot_img

Related articles

নতুন তিন বিমান সংস্থা: ইন্ডিগোর একচেটিয়া দখল ভাঙছে দেশের আকাশে 

দেশের আকাশপথে একচেটিয়া দখল ভাঙতে যাচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও যাত্রী অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি সংস্থাকে...

ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যতটা শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের...

শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুগলিতে ওয়্যারহাউস! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে...

ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠন, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়

রাজ্য সরকার এবার সচিবালয়ের কর্মীদের মতোই ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা...