Friday, November 14, 2025

”বঙ্গ-বিজেপি বাঁচাতে সুব্রতকে চাই”, রাজ্য দফতরে পোস্টার নিয়ে তোলপাড় গেরুয়া শিবিরে

Date:

Share post:

বাংলায় গেরুয়া শিবিরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। সম্প্রতি, আদি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বিস্ফোরক অভিযোগ করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বর্তমানে চার-পাঁজজন নেতা বঙ্গ বিজেপিকে কুক্ষিগত করে সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে বিজেপি অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগবে। অদূর ভবিষ্যতে এ রাজ্যের বুকে বামেরা শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে। সায়ন্তনের “পত্র বোমা”র রেশ কাটতে না কাটতে ফের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিদ্রোহের ছবি প্রকট। দলবদলু, সুবিধাবাদী, নব্য নেতাদের বিরুদ্ধেই মূলত আদি বিজেপির এই বিদ্রোহ।

এবার বঙ্গ বিজেপিকে বাঁচাতে ফের দক্ষ সংগঠক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফেরানোর দাবি উঠল। এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির রাজ্য সদর দফতর ৬, মুরলীধর সেন লেনে পড়ল হোর্ডিং ও ব্যানার। যা নিয়ে তোলপাড় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

তবে এই বিদ্রোহ প্রথম নয়। সম্প্রতি সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে তাঁর ছবি ও নাম দিয়ে পোস্টার পড়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম নতুন করে গেরুয়া শিবিরে ভেসে ওঠায় তখন থেকেই জোরচর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এখন তা নতুন মাত্রা পেল।

এর আগে গতকাল, শুক্রবার নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় ”বঙ্গ-বিজেপি বাঁচাতে সুব্রতকে চাই”, এই মর্মে পোস্টার পড়েছে। কারা এই পোস্টার সেঁটেছে তা স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী শিবিরের একাংশ এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ওই পোস্টারগুলিতে সুব্রতকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের সাফল্যের অন্যতম কারিগর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত, ওই সময়ে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠনের লাগাম সুব্রতর হাতেই ছিল।

বিজেপির একাংশের মতে, বাংলায় দলের যেটুকু সংগঠন তৈরি হয়েছে, তার পিছনে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা ভোটের দোরগোড়ায় সুব্রতকে সরিয়ে অমিতাভ চক্রবর্তীকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) পদে বসায় দিল্লি। সুব্রত ফেরত চলে যান নিজের পুরোনো সংগঠন আরএসএসে। তারপর থেকেই বঙ্গ-বিজেপির দুঃসময় শুরু বলে অভিমত গেরুয়া শিবিরের একাংশের।

ফের দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে সুব্রতকে বিজেপিতে ফেরত আনার প্রয়োজনীয়তার কথা ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করছেন দলের অনেক শীর্ষ নেতাই। কিন্তু সুব্রতকে ফেরত চেয়ে বিজেপির কারা পোস্টার সেঁটেছেন সেই সর্ম্পকে নেতাদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিজে অবশ্য বলছেন, “আমি জানি না কারা এ সব করছেন। আমার সক্রিয় রাজনীতি সম্পর্কে আর বিশেষ কোনও আগ্রহ নেই। আমার সঙ্গে বর্তমান নেতাদের সে ভাবে কথাও হয় না।”

spot_img

Related articles

৯৮ বছরে প্রয়াত বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও ধর্মেন্দ্রর প্রথম নায়িকা কামিনী কৌশল

প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কামিনী কৌশল( Kamini Kaushal)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত...

বুমরাহের বোলিংয়ে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে ধস, ভয়ঙ্কর হওয়ার ইঙ্গিত কুলদীপের

ইডেন টেস্টের প্রথম দিনেই জ্বলে উঠলেন জসপ্রীত বুমরাহ (Jaspret Bumrah)।স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়ায় প্রথম একাদশে দুই পেসারকে নিয়ে...

মহিলা ফ্যাক্টরে বিহারে বাংলা মডেল: ভোটের ফল নিয়ে সাগরিকার নিশানায় BJP

নজিরবিহীন! পুরুষ ভোটারের তুলনায় এবার বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Election) মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি। বিহার বিধানসভা...

দিঘা পলাতক ছাত্ররা উদ্ধার নিউটাউনের হোটেলে! তদন্তে পুলিশ

দিঘা  থেকে পালানো ছাত্ররা উদ্ধার নিউটাউনের হোটেলে। দিঘার (Digha)একটি স্কুলের একাধিক স্কুল ছাত্ররা নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে তাদের খোঁজ...