লাভ জেহাদের জেরেই কি খু*ন ! শ্রদ্ধার মৃ*ত্যু নিয়ে প্রশ্ন বাবার

জেরা চলাকালীন খু*নের কথা স্বীকার করেন আফতাব। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খু*ন করেছেন বলে দাবি করেছেন আফতাব। শ্রদ্ধার বাবা বলছেন আফতাবের মৃ*ত্যুদণ্ড হওয়া দরকার। তাঁর সন্দেহ লাভ জেহাদের জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খু*নের (Delhi Shraddha Mu*rder Case) ঘটনায় বিস্মিত গোটা দেশ। যে নৃশংসতার সঙ্গে খু*ন করা হয়েছে তাতে শিউরে উঠছেন সকলেই। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রদ্ধাকে হ*ত্যার পর সবরকমভাবে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আফতাব (Aftab)। শুধুই কি প্রাণে মেরে ফেলা ? শ্রদ্ধা ওয়ালকারের (Shraddha Walker)দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে কি লাভ জেহাদ (Love Jihad) জড়িয়ে আছে? অন্তত তেমন আশঙ্কাই করছেন মৃ*তার বাবা। এমনকী তিনি অভিযুক্ত আফতাবের (Aftab) মৃ*ত্যুদণ্ড চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে ।

২০১৯ সালে ডেটিং অ্যাপ মারফত শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় আফতাবের এবং সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রেমিককে নিয়ে এক সঙ্গে থাকবেন বলে ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। ভিন্‌‌ ধর্মের ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হোক, প্রথম থেকেই চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। কিন্তু, প্রেমের টানে বাবা-মার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে আফতাব ও শ্রদ্ধার সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। এমনকী পরস্পরকে তারা অবিশ্বাস করতেও শুরু করেছিল। অবিশ্বাস এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একে অপরকে ফোন করে হোয়াটস্যাপে জিপিএস লোকেশন (GPS location)ও আশেপাশের ছবি চেয়ে পাঠাত আফতাব-শ্রদ্ধা। সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দেখে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝবুঝি মিটিয়ে নিতে এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)ও উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বেড়াতেও যান তাঁরা । সেখান থেকে ফিরে এসে দিল্লিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই যুগল। কিন্তু অভিযুক্তের মাথায় ছিল অন্য পরিকল্পনা। দিল্লির (Delhi) ছাতারপুরের ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খু*ন করে আফতাব। গত ১০ নভেম্বর মেয়ের হদিস না পেয়ে মুম্বই পুলিশে এফআইআর (FIR)দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধার বাবা (Sraddha’s father)। এর পরই আফতাবকে পাকড়াও করা হয়। জেরা চলাকালীন খু*নের কথা স্বীকার করেন আফতাব। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খু*ন করেছেন বলে দাবি করেছেন আফতাব। শ্রদ্ধার বাবা বলছেন আফতাবের মৃ*ত্যুদণ্ড হওয়া দরকার। তাঁর সন্দেহ লাভ জেহাদের জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।

Previous article১০০ দিনের টাকা দিন, না হলে গদি ছাড়ুন: মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব মমতা
Next articleমোরবি বিপর্যয়ে ‘চালাকি’ করছে পুরপ্রশাসন! মন্তব্য গুজরাট হাই কোর্টের