মোরবি বিপর্যয়ে ‘চালাকি’ করছে পুরপ্রশাসন! মন্তব্য গুজরাট হাই কোর্টের

মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় পুরপ্রশাসনকে তুলোধনা করল গুজরাট হাই কোর্ট।মঙ্গলবার বিচারপতি বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার দুর্ঘটনা নিয়ে ‘চালাকি’ করছে মোরবি পুরপ্রশাসন। এমনকি, এদিনের মামলার শুনানিতে ব্রিজ কর্তৃপক্ষ উপস্থিতই হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়ে সাসপেন্ড মোরবি পুরসভার মুখ্য আধিকারিক

আদালত জানায়, ২০০৮ সালে সই হওয়া চুক্তি ফের রিনিউ হয় ২০১৭ সালে। প্রশ্ন উঠেছে, তার পরে চুক্তি রিনিউ না করেই এতদিন পর্যন্ত ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে করল ওই সংস্থা। গুজরাট সরকারের ৬টি দফতর থেকে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি। সংস্থার সঙ্গে সরকারের চুক্তির যা নথি সেই প্রথম দিন থেকে আজ অবধি রয়েছে, তাও মুখবন্ধ খামে আদালতকে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত মাসের ৩০ তারিখে সন্ধেবেলায় আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ। সাত মাস ধরে মেরামতির পরে সদ্য খোলা হয়েছিল ব্রিজটি। তার পরপরই ভেঙে পড়ে ব্রিজটি।  ব্রিজটি ভেঙে পড়ার আগের মুহূর্তে ব্রিজটিতে কয়েকশো মানুষ ছিলেন।ব্রিজটি আচমকাই ভেঙে জলে পড়ে যান সকলে।শিশু ও মহিলা সহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৪১ জন। এরপরই এই দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি সামনে আসে। গ্রেফতার করা হয় ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার  ৯ জনকে।। গুজরাটে এই নিয়ে একটি মামলাও দায়ের হয়।

মোরবি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, তাদের থেকে ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ না নিয়েই নির্ধারিত সময়ের আগে ব্রিজ খুলে দিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু তাতে মোটেই প্রশাসনের উপর সন্তুষ্ট নয় আদালত। এদিন শুনানি চলাকালীন গুজরাট হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রশ্ন করেন, জনসাধারণের জন্য যে ব্রিজ, তার রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামত করার জন্য প্রকাশ্যে টেন্ডার ডাকা হয়নি কেন?

প্রসঙ্গত, ব্রিজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল অজন্তা ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার আওতায় কাজ করা একটি নির্মাণ গ্রুপ, ‘ওরেভা’। অজন্তাকেই ১৫ বছরের চুক্তি দিয়েছিল সরকার।এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন ব্রিজটির শেষ মেরামতির কাগজ খতিয়ে দেখে আদালত প্রশ্ন তোলে, এত জরুরি একটা কাজের কথা মাত্র দেড় পাতায় লেখা হয়ে গেছে!

Previous articleলাভ জেহাদের জেরেই কি খু*ন ! শ্রদ্ধার মৃ*ত্যু নিয়ে প্রশ্ন বাবার
Next articleসুবীরেশের নির্দেশেই সরাসরি ৬৬৭ জনের নম্বর বেড়েছিল !নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাবি সিবিআইয়ের