সুবীরেশের নির্দেশেই সরাসরি ৬৬৭ জনের নম্বর বেড়েছিল !নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাবি সিবিআইয়ের

সুবীরেশ ভট্টাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ শোনার পর জোর গলায় বলেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর জমানায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি

এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিতে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই নিয়োগ পরীক্ষায় ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর মোটা টাকার বিনিময়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। এই ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) বদলানো হয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এই মর্মে আদালতে প্রমাণ দিতে বেশ কিছু নথিও পেশ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

অথচ, এই সুবীরেশ ভট্টাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ শোনার পর জোর গলায় বলেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর জমানায় নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে। বিপুল টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল। এসএসসি সংক্রান্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম ছিল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। এমনকী, যে সময়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সুবীরেশ।

Previous articleমোরবি বিপর্যয়ে ‘চালাকি’ করছে পুরপ্রশাসন! মন্তব্য গুজরাট হাই কোর্টের
Next articleআইপিএল থেকে অবসর পোলার্ডের