সদ্য কংগ্রেস(Congress) সভাপতির দায়িত্বে এসেছেন প্রবীণ সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun kharge)। তবে দায়িত্বে এলেও আভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এরই উদাহরণ এবার দেখা গেল রাজস্থানে। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এবার পর্যবেক্ষকের পদ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken)। তাঁর অভিযোগ, তাঁর সুপারিশ না মেনে কাজ করেছে দলের। এ প্রসঙ্গে গেহলটপন্থী বিধায়কদের(MLA) শাস্তি দেওয়ার কথা সুপারিশ করলেও সেটা কার্যকর হয়নি।

রাজস্থানে এই ঘটনা সূত্রপাত কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ঠিক আগে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা চাইছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে কংগ্রেসের সভাপতি দায়িত্বে আসুন অশোক গেহলট। শুরুতে সে প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে সভাপতি পদে আসতে রাজি হলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদে সচিন পাইলটের পরিবর্তে নিজের ঘনিষ্ঠ কাউকে বসাতে উদ্যোগী হন তিনি। এই প্রস্তাবে রাজি ছিল না শীর্ষ নেতৃত্ব। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী পদে গেহলটের বিকল্প খুঁজতে দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেন রাজস্থানের বিধায়কদের বৈঠক ডাকেন। তবে সেই বৈঠকে গরহাজির থাকেন গেহলট পন্থী ৯০ বিধায়ক। উল্টে পরদিন স্পিকার এর কাছে নিজেদের ইস্তফা পত্র জমা দিতে যান তারা।

ওই বিধায়কদের দাবি ছিল অশোক গেহলট যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে না থাকেন সেক্ষেত্রে তারাও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এরপরই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে, এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেন মাকেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদ্রোহী ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি কংগ্রেস। স্রেফ শোকজ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাতেই ক্ষুব্ধ মাকেন। ক্ষোভে দলের রাজস্থানের পর্যবেক্ষকের পদও ছেড়ে দিলেন তিনি। যা রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য নতুন সংকট তৈরি করবে। গুজরাট ভোটের আগে এই নতুন সংকট দলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
