Monday, August 25, 2025

আরও জটে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত  শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও রকম নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারবে না রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। শুক্রবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি স্পষ্ট জানান,যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। এই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিতে “অযোগ্য” শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা? নামের তালিকা চাইল হাইকোর্ট

২০১৬ সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহেই স্থগিতাদেশ  দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দু’দিনের জন্য সেই স্থগিতাদেশ ছিল। শুক্রবার সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানিয়ে দিল, অতিরিক্ত শূন্যপদে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগের আবেদন তারা প্রত্যাহার করবে।পাশাপাশি শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে। ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।

সম্প্রতি আদালতে নতুন চারটি হলফনামা দাখিল করে কমিশন। সেখানে আবেদন করে যে, চাকরি বাতিল হয়েছে যে প্রার্থীদের, তাঁদের রাজ্যের তৈরি করা অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হোক। কমিশন যখন এই কথা বলে, তখন তাদের উল্টো পথে হাঁটে রাজ্য। আদালতে জানায়, তারা কমিশনের এই অবস্থানের বিপক্ষে। অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে রাজ্য সরকার নয়।

আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় কমিশন জানায়, কর্মশিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৭৬৬ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন? পর্ষদের আইনজীবীর উত্তর, ”না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোন নিয়োগপত্র দেয়নি।” অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ”আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।”

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...
Exit mobile version