দেশের জল সীমানা আরও সুরক্ষিত রাখবে ‘আইএনএস খঞ্জর’

শত্রুদেশের যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশ সীমানায় ঢুকলে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর থেকেই দেখতে পেয়ে যাবে খঞ্জর

ভারতীয় নৌসেনা জলে নামিয়ে দিল নতুন দানব৷ ভারতের সমুদ্র সীমানার আশেপাশে যাতে মাছিও গলতে না পারে তারই ব্যবস্থা করা হল এবার৷ভারতের জলসীমায় সন্দেহজনক কোনও কিছু দেখলেই মূহুর্তের মধ্যে ঝাঁঝড়া করে দেবে ভারতীয় নৌসেনার ‘আইএনএস খঞ্জর’৷
লাদাখকে যেমন অত্যাধুনিক বাঙ্কারের সুরক্ষা কবজে ঢেকে ফেলা হয়েছে৷ তেমনই এবার জলপথেও সূদুর জাল বিছিয়ে দিল ইন্ডিয়ান নেভি৷ শত্রুর বুকে কাঁপন ধরানোর মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভারে ভর্তি ‘আইএনএস খঞ্জর’৷ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বা ‘অ্যান্টি শিপ মিসাইল’ থেকে নিজেকে বাঁচাতে খঞ্জর ব্যবহার করে ‘AK-630’ কামান৷জানা গিয়েছে, ৩০ মিলিমিটারে সোভিয়েত জমানার এই স্বয়ংক্রিয় কামানটি প্রতি মিনিটে চার থেকে পাঁচ হাজার রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে পারে শত্রুকে টার্গেট করে।

শত্রুদেশের যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশ সীমানায় ঢুকলে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর থেকেই দেখতে পেয়ে যাবে খঞ্জর৷ রাডার ও ইলেকট্রো অপটিক্যাল সিস্টেমের মদতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে দিন বা রাতে কাজ করতে সক্ষম ‘AK-630’৷এমনকি, কোনও সন্দেহজনক নৌকা জলসীমায় ঢুকলে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূর থেকেই ‘আইএনএস খঞ্জর’ চিনতে পারবে সেই নৌকা৷ ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট যে খবর উঠে আসছে তা চাঞ্চল্যকর৷এই জাহাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হচ্ছে ‘AK-176’ ন্যাভাল গান বা বন্দুক৷ সমুদ্রে জঙ্গিদের স্পিডবোটগুলিকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। চোখের পলকে ১২০ রাউন্ড গোলা ছুঁড়তে পারে৷ খঞ্জরে থাকা টেলিভিশন টার্গেটিং ও লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডারের মদতে অস্ত্রটির চালক ক্যাবিনে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে হামলা চালাতে পারবেন৷

Previous articleগ্রেফতারি পরোয়ানার পর আদালতে আত্মসমর্পণ জন বার্লার, ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন
Next articleঅনুপ্রবেশের ছক বানচাল! নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা-জ*ঙ্গি গু*লির লড়াইয়ে খতম ১