টিএন সেশনের উদাহরণ টেনে স্বচ্ছতা নিয়ে সুপ্রিম তোপের মুখে নির্বাচন কমিশন

১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ছিলেন সেশান। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। তবে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এটা নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।

কাজকর্মে স্বচ্ছতা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) বড়সড় প্রশ্নের মুখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে দায়ের করা একটি পিটিশনের (Petition) শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitutional Bench) কেন্দ্রীয় সরকারকে বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (Chief Election Commissioner) মেয়াদ কেন কমানো হয়েছে তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ (UPA) এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করছি। আর এর প্রতিকারের উপায় হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিএন সেশনের (T N Seshan) মতো কাউকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো জরুরি। বুধবার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সেই নিয়োগ সম্পন্ন হলে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে। এমনটাই মত প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ছিলেন সেশান। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। তবে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এটা নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না এবং আমরা তা করবও না। এরপরই আদালত সাফ জানায়, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার আনতে হবে। না হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে এর বড় প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি প্রভাবিত হতে পারে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাও (Freedom of Election Commission)। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার দাবি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। তাতে দাবি করা হয়, যে ভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়, সে রকমই কলেজিয়ামের (Collegium) মাধ্যমে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হোক। তাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে এই শুনানিতে সওয়াল করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) আর ভেঙ্কটরামানি (R Venkatramani)। তাঁর যু্ক্তি, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে সেরা কাউকে নিয়োগের বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই সরকারের। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা কী ভাবে করা হবে? তাঁর কথায়, সংবিধানে কোনও ফাঁক নেই। বর্তমানে মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শের ভিত্তিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি (President of India)। যদিও কলেজিয়ামের মাধ্যমে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র।

Previous articleফের উত্তাল বিধানসভা! মুখ্যমন্ত্রীর বেরোতেই বিজেপি বিধায়কদের হৈ হট্টগোল
Next articleCM on Dengue : শীত পড়লেই ডেঙ্গি কমবে, বিধানসভায় বললেন মমতা