অতিরিক্ত শূন্যপদে বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation)। পাশাপাশি বহাল থাকল শিক্ষাসচিবকে (Education Secretary) হাজিরার নির্দেশও। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানতে চায় সিঙ্গল বেঞ্চ (Single Bench) মামলা শুনছে, অসুবিধা কোথায়? আদালত কি কোনও সচিবকে ডাকতে পারে না? বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিল, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকবে। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

এর আগে, সেপ্টেম্বরে বেনিয়মের অভিযোগে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে হাইকোর্টে তাঁদের পুর্নবহালের আবেদন জানায় এসএসসি (SSC)। সেই আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক।
অন্যদিকে, বুধবার ফের নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধ নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করা হল? কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি আদালতে কোনও নথি জমা করতে পারেনি কমিশন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন বেনামী আবেদনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিকে বুধবার রাতেই সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আসেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বিচারপতি। যেহেতু রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গেছিল, তাই এই মামলা শোনেননি তিনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টের পর মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, তাই এদিন আর হাজিরা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার শিক্ষাসচিবকে হাজির হতে হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
