Thursday, November 6, 2025

মসজিদের আদলে বাসস্টপ! বিজেপি সাংসদের হুমকির পর মুহূর্তে বদলে গেল নকশা

Date:

মসজিদের (Mosque) আদলে তৈরি করা হয়েছিল একটি বাসস্টপ (Bus Stop)। কর্ণাটকের (Karnataka) মাইসোরের (Mysuru) সেই নতুন বাসস্টপকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল বিতর্ক (Controversy)। আর তা দেখেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ (BJP MP)। সেটিকে ভেঙে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে (Pratap Simha) বাসস্টপটি ভেঙে ফেলতে হয়নি। তার আগেই বাসস্টপের মাথার ওপর তিনটি গম্বুজের মধ্যে দুটো গম্বুজ সরিয়ে দেওয়া হয়। গম্বুজটির রঙ লাল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই ছবি ভাইরাল।

ন্যাশনাল হাইওয়ে (National Highway) ৭৬৬ কেরালা বর্ডার-কোলেগালা সেকশনে বাসস্টপের বিশ্রাম কেন্দ্রটি কিছুদিন আগেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা সম্প্রতি বাসস্টপটি মসজিদের মতো হওয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের মসজিদের মতো দেখতে বাসস্টপটি ভাঙতে নির্দেশ দেন। সাংসদের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা সিমহার বিরুদ্ধে প্ররোচনা মূলক মন্তব্য করার অভিযোগ করেন। বিজেপি যে মুসলিম বিরোধী তা আবারও প্রমাণিত হল। পরে সিমহা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, আমি দেখেছি, বাসস্ট্যান্ডের তিনটি গম্বুজ রয়েছে। একটি বড় পাশের দুটি ছোট। এটি শুধুমাত্র মসজিদে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, মাইসোরের বেশিরভাগ পরিকাঠামো এই ধরনের নকশায় তৈরি হচ্ছে। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি, বাসস্টপটি ভেঙে ফেলতে। না হলে আমি তিন চার দিনের মধ্যে জেসিবি দিয়ে ভেঙে ফেলব।

উল্লেখ্য, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) রাম দাসের (Ram Das) নেতৃত্বে এই বাসস্টপটি তৈরি হয়েছিল। যদিও তিনি দলের সাংসদের এই ধরনের মন্তব্য প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি জানান, মাইসোরের প্রাসাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই নকশাটি তৈরি করেছিলেন। পরে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চান। তিনি আরও বলেন, মাইসোরের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে এই নকশা করা হয়েছিল। এতে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগলে তিনি দুঃখিত।

এদিকে রবিবার সকালে বিজেপি সাংসদ সিমহা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসস্টপটির বিশ্রামকেন্দ্রের পরিবর্তনের খবর শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বাসস্টপটিতে তিনটে গম্বুজের পরিবর্তে একটি গম্বুজ দেখা যাচ্ছে। আগে গম্বুজগুলোর রঙ সোনালি ছিল। বর্তমানে একটি বড় গম্বুজের রঙ লাল করা হয়েছে।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version