সুন্দরবন সফরে গিয়ে মঙ্গলবার টাকিতে রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)। সেকারণে সেজে উঠছে টাকির (Taki) জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলো। নীল-সাদা রঙে সাজানো হয়েছে ভবন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়েছে সীমান্ত শহর। মুখ্যমন্ত্রী সফর ঘিরে টাকি পুরসভার উদ্যোগে চলছে ইছামতির পাড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ। সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট (Tourist Spot)।
পাশাপাশি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়েও খামতি রাখা হচ্ছে না। টাকির এরিয়ান ক্লাবের মাঠে নামবে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার (Helicopter)। সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সোমবার সকাল থেকেই টাকির এরিয়ান ক্লাব মাঠে হেলিকপ্টার ট্রায়ালের জন্য ওঠানামা করতে দেখা যায়। অন্যদিকে, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ইছামতি নদীতে লঞ্চ নিয়ে পুলিশের কড়া টহল চলছে। সুন্দরবন থেকে টাকিতে নেমে জনস্বাস্থ্য দফতরের বাংলোয় রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বসিরহাটের পূর্ত, সেচ, জনস্বাস্থ্য ও পুলিশ প্রশাসন সহ একাধিক দফতরকে নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
বরাবরই পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উদ্যোগে ঢেলে সেজেছে বহু জায়গা। এবার সীমান্ত শহর টাকিতে রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। টাকির উন্নয়নের জন্যেও একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে দিয়ে বাংলা তথা দেশের মানচিত্রে জায়গা করেছে টাকি। বেড়েছে পর্যটক, কর্মসংস্থান। মুখ্যমন্ত্রী নিজে টাকিতে রাত্রিবাসের পর উন্নয়নের বিষয়ে আর কী কী নির্দেশ দেন সেদিকে তাকিয়েই স্থানীয় মানুষ।