রাজ্যসভার লোভে বিজেপির হয়ে প্রচার মিঠুনের, দাবি কুণালের

গ্রামে ঘুরে ঘুরে মিঠুনের এমন হাস্যকর দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিদ্রুপের সুরে বলেন, আগে মিঠুন চক্রবর্তী ঘোষণা করুন, তিনি রাজ্যসভার লোভে আসেননি, তিনি বিজেপিকে ভালবেসে এসেছেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) ফ্লপ তারকাকে নিয়ে ফের পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে নামছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে এখন গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Actor Mithun Chakraborty)। গ্রামের সংখ্যালঘু মানুষের মন পেতে বিজেপির বিভিন্ন সভায় গিয়ে মিঠুন বলছেন, মুসলিমদের ভালোবাসা ছাড়া তিনি কখনই সুপারস্টার হতে পারতেন না। মিঠুনের আরও দাবি, বিজেপি নাকি মুসলিম বিরোধী নয়, বিজেপি একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা মুসলিমদের উন্নয়নের কথা ভাবে।

গ্রামে ঘুরে ঘুরে মিঠুনের এমন হাস্যকর দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিদ্রুপের সুরে বলেন, আগে মিঠুন চক্রবর্তী ঘোষণা করুন, তিনি রাজ্যসভার (RajyaSabha) লোভে আসেননি, তিনি বিজেপিকে ভালবেসে এসেছেন। এরপরই সুর চড়িয়ে কুণাল বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন কী করে? রাজ্যসভার লোভ থেকে আসেননি কাজ করতে এসেছেন, এটা আগে ঘোষণা করুন উনি। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় এই মিঠুন চক্রবর্তী সিপিএম-এর মিছিলে (CPIM Rally) হেঁটেছিলেন। পরে মমতাদির (Mamata Banerjee) হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ছিলেন। সেদিন বলেছিলেন, বোনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। মাঝপথে এজেন্সির থেকে বাঁচতে কোথায় গেছিলেন। আবার উদয় হয়েছেন।”

অন্যদিকে, বিজেপির হয়ে প্রচারে এসে মিঠুন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত দলকে জোট বাঁধার আহবান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মিঠুনকে খোঁচা মেরে কুণাল বলেন, “তাহলে মিঠুন চক্রবর্তী স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তৃণমূলকে একা হারানোর মুরদ নেই ওনাদের। বিজেপি দেখছে, দিলীপ (Dilip Ghosh) দিয়ে হবে না, সুকান্ত (Sukanta Bhattachatya) দিয়ে হবে না, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হবে না। তাই মিঠুনকে এনেছে। বিধানসভা ভোটেও এসেছিলেন, কী হয়েছে সবাই দেখেছে। উনি বলছেন, মমতা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেছে। আরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাননি, সিপিএমকে হারাতে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন সেই সিপিএমকেই ডাকছেন মিঠুন।”

Previous articleবিশ্বকাপে অঘটন, মরক্কোর কাছে বেলজিয়ামের হারে রাতভর দা*ঙ্গা ব্রাসেলসে
Next articleআগামিকাল রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী: সাজছে টাকি, আঁটোসাটো নিরাপত্তা