জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকেরই প্রয়োজন একটা চাকরি।আর সেই চাকরি জোগাড় করতে গিয়ে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হলেন প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।খাস কলকাতায় (Kolkata) অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার নামে চলছিল এই প্রতারণা (Job Fraud)।
মাস দুয়েক ধরে দিব্যি চলছিল এই প্রতারণা।বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনও উপায় ছিল না যে পুরোটাই নাটক।কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। প্রায় ২ মাস পর প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হল।জানা গিয়েছে, বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়েছে । দমদমের নাগেরবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রায় ৭০০জন। নাগেরবাজার থানায় বিক্ষোভ দেখান প্রতারিতরা।
প্রতারিতরা জানিয়েছেন, বিদেশে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা চক্র চলছিল খাস কলকাতায়! রীতিমতো অফিস খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জাল পেতেছিল প্রতারকরা।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে দমদমের ঘোষপাড়ার বহুতলে তিনতলার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অফিস খোলে সাইবা কনসালটেন্সি নামের ওই সংস্থা। ইরাকে চাকরি দেওয়া হবে বলে অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দেয় সংস্থাটি। অভিযোগ, চাকরি চেয়ে যোগাযোগ করলেই কারও থেকে ২০ হাজার, কারও থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হত। এমনকী, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে ভুয়ো পাসপোর্ট, ভিসাও তৈরি করে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। তারপর আচমকাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের সঙ্গে। সন্দেহ হতেই অফিসে ছুটে আসেন সকলে। কিন্তু সেখানেও ঝুলছে তালা।
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল প্রতারিতরা।এমনই মনে করছে পুলিশ।যেভাবে প্রতারণা করা হয়েছে, তাতে এর সঙ্গে পাকা মা্থা যুক্র বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নাগেরবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রতারিতরা। নাটের গুরুর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
