হরিপালে হাজির পরিযায়ীরা: ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা, সতর্ক স্থানীয় মানুষ

সুমন করাতি, হুগলি: শীতকাল আর পরিযায়ী পাখি- বাংলায় মিলে মিশে একাকার। হুগলির (Hoogli) হরিপালের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙছে পরিযায়ী সার্বিয়ান পাখিদের (Migratory Siberian Bird) কুজনে। আর শুধু হুগলির হরিপালই নয়, এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা মানুষও।

শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুদূর সাইবেরিয়ার মেরু প্রদেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায় হরিপালের বলদবাঁধের জলাশয়গুলিতে। এখানকার আটটি জলাশয়ে মুখরিত হয়ে ওঠে পাখিদের কলতানে। নানা রঙের ডানার এই পাখিরাইতিমধ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে হরিপালের বলদবাঁধের ৮ টি বিশাল বিশাল জলাশযে। মনে আনন্দে তারা ঘুরে-উড়ে বেড়াচ্ছে। পাখিরা আসায় খুশি এখানকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দারাও। গ্রামবাসীদের আবেদন, পরিযায়ী পাখিরা যাকে অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে তার জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে সবাইকে।

পাখি দেখতে প্রতিবছর শীতকালে হরিপালে প্রচুর পর্যটক আসেন। মিঠে রোদ গায়ে মেখে চড়ুইভাতিতে মেতে ওঠেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা স্বরূপকুমার মিত্রের পর্যটকদের কাছে আবেদন, যখন এখানে আসবেন উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো বন্ধ রাখুন। কোনও রকম শব্দ করবেন না, যাতে পরিযায়ী পাখিদের অসুবিধা না হয়।

এছাড়াও অতীতে দেখা গিয়েছে, এখানে বেশ কিছু চোরা শিকারি পাখি শিকার করেছে। সেই বিষয়েও সতর্ক স্থানীয়রা। তাঁদের কথায় আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমস্ত জীবকুলকে বাঁচাতে হবে। বলদবাঁধের গ্রামবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করে পাখিদের রক্ষার জন্য আবেদনও করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অপরাজিতা মিত্র জানিয়েছেন, সকালবেলা এই পাখিদের ডাকে তাঁদের ঘুম ভাঙে। দিনটাই অন্যরকম হয়ে যায়। তাই তাঁরা চান এখানকার এই সমস্ত পাখিরা যাতে শান্তিতে কয়েক মাস থাকতে পারে। তার জন্য সকলকে চেষ্টা করতে হবে।

Previous articlePrimary TET: এবার অন্য বিতর্কে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
Next articleমিনাখাঁ ও কেশপুর বিস্ফোরণের তদন্তে বড় নির্দেশ হাই কার্টের