Thursday, August 28, 2025

অনুদানে বাবদ গেরুয়া তহবিলে ৬১৫ কোটি, তৃণমূল মাত্র ৪৩ লক্ষ

Date:

লক্ষ্মীর ভাঁড়ার ফুলেফেঁপে উঠছে গেরুয়া শিবিরের। বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুদান বাবদ কেন্দ্রের শাসক শিবিরের আয় প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান প্রাপ্তির এই তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। যেখানে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে আয়ের নিরিখে শীর্ষে বিজেপি(BJP)। অন্যদিকে অনুদান বাবদ সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে তৃণমূল(TMC)। তাদের আয় মাত্র ৪৩ লক্ষ টাকা।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য হিসেবে ২০২১-২২ সালেই কংগ্রেসের থেকে প্রায় ৬ গুণের বেশি অনুদান পেয়েছে মোদি-শাহের দল। টাকার অঙ্কে যা ৬১৪.৫৩ কোটি টাকা। এই তালিকায় কংগ্রেসের আয় ৯৫.৪৬ কোটি টাকা। সিপিএমও পিছিয়ে নেই এই তালিকায়। চলতি বছরে তাদের আয় ১০.০৫ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৪৪.৫৪ কোটি টাকা এবং সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে তৃণমূল। অনুদান হিসেবে তৃণমূল পেয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে পৃথক দাতা এবং সংস্থার কাছ থেকে ২০ হাজারের বেশি টাকা নিলে, রাজনৈতিক দলগুলিকে একটি প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। ব্যক্তি ও সংস্থার পাশাপাশি নির্বাচনী ট্রাস্টগুলিও রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিয়ে থাকে। কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসারের রাজনৈতিক ট্রাস্টগুলি থেকে কোটি টাকারও বেশি অনুদান পেয়েছে বিজেপি। অবশ্য বিজেপির এই আয় নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নেই। অভিযোগ শাসক দলে থাকার দৌলতে তাদের অর্থের ভাড়ার ফুলেফেঁপে উঠছে অবশ্য কারা বিজেপিকে এই বিপুল টাকা অনুদান দিচ্ছে তা জানারও উপায় নেই। কারণ আইন করে সেই রাস্তা বন্ধ করেছে মোদি সরকার।

পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তথ্যে জানানো হয়েছে, বিজেপি ২২০৬ টি উৎস থেকে অনুদান পেয়েছে। কংগ্রেসকে অনুদান দিয়েছে ১০৫৯ জন। তৃণমূল কংগ্রেস অনুদান পেয়েছে ২৬ টি সূত্র থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির প্রাপ্ত অনুদান, ৪২.৫১ কোটি টাকা। সিপিআইএমের অনুদান এসেছে ২২৬ টি উৎস থেকে, তাদের প্রাপ্ত অনুদান ১২.৮৫ কোটি টাকা।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version