‘নিউরালিঙ্ক-এর সফল পরীক্ষা! আগামী বছরই মানব প্রয়োগ চান Elon Musk

নিউরালিঙ্ক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এলন মাস্কের সংস্থার। নিউরালিঙ্ক আসলে একটি ছোট্ট চিপ, যা মানুষের মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট করা হবে। তবে তা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে চিপ। আর সেই চিপের মাধ্যমে মানব ভাবনায় নিয়ন্ত্রিত হবে কম্পিউটার (Computer) বা স্মার্ট ফোনের (Smart Phone) মতো ডিভাইস (Device)। যা স্পর্শ না করলেই চলবে। এতদিন বই বা কল্পবিজ্ঞানেই তা দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার তা বাস্তবায়িত করতে নিউরালিঙ্ক (Neuralink) প্রযুক্তি নিয়ে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থার। নিউরালিঙ্ক আসলে একটি ছোট্ট চিপ (Chip), যা মানুষের মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট (Brain Implant) করা হবে। তবে তা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তবে ডিভাইসটিতে আগের প্রদর্শনীগুলির থেকে নতুন কিছু যুক্ত করা হয়েছে, এমনটাই মাস্কের সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা এই ডিভাইস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ডিভাইসটি বাজারে বিক্রি করতে হলে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (Food and Drugs Administration) অনুমোদন প্রয়োজন। মাস্ক বুধবার জানান, তাঁর সংস্থা ইতিমধ্যেই ডিভাইসটি মানুষের মধ্যে প্রতিস্থাপন করতে চেয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম কাগজপত্র এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছে।

চলতি বছরেই মানুষের মাথায় নিউরালিঙ্ক প্রয়োগের আগে বাঁদরের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালান হয়। এই যন্ত্রটি নাকি স্নায়ুর সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে, এমনটাই জানিয়েছিল মাস্কের সংস্থা। পাশাপাশি মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে চোটের কারণে যাঁদের কোনও অঙ্গ বিকল হয়েছে, এই যন্ত্র তাঁদের আগের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেবে। গত বছরেই এই যন্ত্র মানুষের উপর প্রয়োগের কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে চলতি বছর করার ঘোষণা হয়। এদিকে এলন মাস্কের নিউরালিঙ্কের কারণে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১৫টি বাঁদর। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নিউরালিঙ্ক ব্রেন চিপ তৈরির কথা বলা হয় এলন মাস্কের সংস্থার তরফে। এরপর শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা।

Previous articleলেওয়ানডস্কির সঙ্গে এ কেমন সৌজন্যতা? মেসির ব‍্যবহারে প্রশ্ন ফুটবল মহলে
Next articleArijit Singh Concert : নিজের শো-এর টিকিট মূল্য নিয়ে ট্রোলড হলেন অরিজিৎ !