গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাড়াতে জমিদাতার জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের

যে জমি ও বাড়ি সরকারকে দানপত্র করা হবে তার কোনও স্ট্যাম্প ডিউটি বা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াই এই সিদ্ধান্ত।

গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য় (Primary Health Centre) পরিকাঠামো উন্নয়নে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জমি দিলে সংশ্লিষ্ট জমি মালিককে রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, গ্রামে কোনও জমির মালিক তাঁর জমির একাংশ বা বাড়ি-সহ জমি সরকারকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার জন্য দান করলে তার সম্পূর্ণ জমির স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি-তে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর যে জমি ও বাড়ি সরকারকে দানপত্র করা হবে তার কোনও স্ট্যাম্প ডিউটি বা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াই এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যের (State) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার (State Government) প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি, গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবার সামগ্রিক মানোন্নয়নে ১৫ হাজার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।

রাজ্যের সমস্ত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ধাপে ধাপে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। চলতি আর্থিক বছরে এই খাতে সর্বাধিক বরাদ্দ পেয়েছে পুরুলিয়া। সেখানকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মানোন্নয়নে ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পুরুলিয়া জেলাকে দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৬ লক্ষ টাকা। বাকি ১৭ টি জেলাকে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে মোট ১০ হাজার ৩০০-এর বেশি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ধাপে ধাপে এর প্রত্যেকটিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি কে ই ক্লিনিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া, ৬৮ টি টেলিমেডিসিন হাবের মাধ্যমে ৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক গ্রামীণ এলাকার মানুষদের এই দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন। মাত্র দশ মাস আগে স্বাস্থ্য ইঙ্গিত নামক রাজ্য সরকারের এই টেলিমেডিসিন প্রকল্প ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে প্রশংসিত হয়েছে।

 

Previous articleযুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ বেয়ার গ্রিলসের
Next articleআবাস যোজনায় অনিয়ম ঠেকাতে সতর্ক রাজ্য, বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলার ঘোষণা মুখ্যসচিবের