অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার আগের রাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) ভয়ঙ্কর বি*স্ফোরণ ! কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েন এক যুবকের মৃ*ত্যু হয়েছে। আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ (Bhpatinagar Police Station)। এই ঘটনায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল (TMC)।

তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”

অন্যদিকে, ভূপতিনগর নিয়ে দিলীপ ঘোষের অভিযোগকে খণ্ডন করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে কে বা কারা জড়িত। কুণালের কথায়, “গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি তাণ্ডব চালিয়েছে ভূপতিনগরে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মিহির ভৌমিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের সভা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত।”

এরপরই কুণালের সংযোজন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যারা ঘুরছে, তারাই বোম সরবরাহ করছে। আসলে এটা তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা গভীর চক্রান্ত। NIA চেয়ে তৃণমূলের লোকেদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এটা বিজেপির পরিকল্পিত প্লট। যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে জড়িয়ে কর্মীদের ঘরছাড়া করা যায়।”
