ইডি-সিবিআইয়ের প্রোটেকশনে শুভেন্দু টিকে আছে : অভিষেক 

নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখ বন্ধ করে ওকে বিশ্বাস করেছিলেন । আর অধিকারী-পরিবার এখানে যা খুশি তাই করেছে। তারপর পিঠে ছুরি মেরেছে।

ইডি-সিবিআইয়ের প্রোটেকশন না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী টিকে থাকতে পারত না। বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। মানুষের কাছে মার খেত। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখ বন্ধ করে ওকে বিশ্বাস করেছিলেন । আর অধিকারী-পরিবার এখানে যা খুশি তাই করেছে। তারপর পিঠে ছুরি মেরেছে। শনিবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবেই ধুয়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, এই জেলার সব জায়গা থেকে টাকা তুলত। হলদিয়া থেকেও। এখন সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ইডি-সিবিআই কেসে বেল পাইয়ে দেব বলে টাকা তুলছে গদ্দার। আমার কাছে কাগজ রয়েছে, প্রয়োজনে আদালতে জমা দিয়ে দেব। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য অভিষেকের।

একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একজন ঠিকাদার ছাড়া কেউ কাজ পায়নি। একজনই ১৮০ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে। একজন ইঞ্জিনিয়ার এখান থেকে ট্রান্সফার হয়নি৷ এরপরই অভিষেকের নাম করে বলেন, ঠিকাদার সুনীল মণ্ডল, এন সি গিরির সঙ্গে গদ্দারের কী সম্পর্ক? ইঞ্জিনিয়ার অনীশ ঘোষ একজন রিটায়ার্ড সরকারি কর্মচারী, যার পেনশন ৭০ হাজার টাকা। তার দমদম-নিউটাউন-সল্টলেকে একাধিক ফ্ল্যাট-রিসর্ট-জমি-সহ অসংখ্য বেআইনি সম্পত্তি কীভাবে হল? আবার বেঙ্গালুরুতে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এসব দেখলে চোখ কপালে উঠবে।

Previous articleলোডশেডিং করে জিতেছিল, নন্দীগ্রামে ফের ভোট হবে, শুভেন্দুর পাড়ায় দাবি অভিষেকের
Next articleস্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিন অধিকারীর বংশধর বলা শুভেন্দুকে “মহাত্মা গান্ধী-রাহুল গান্ধী” খোঁচা অভিষেকের