Monday, August 25, 2025

বাম শাসনের বিরুদ্ধে কৃষকের(Farmer) অধিকার রক্ষায় ২০০৬ সালের ৪ ডিসেম্বর কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে অনশনে(Hunger Strike) বসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর সেই আন্দোলনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসন। সেই সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৬ বছর পূর্তিতে অতীত স্মরণ করলেন আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখলেন, “লড়াইয়ের সেই আগুন আজও আমার মধ্যে জ্বলছে। ভয় দেখিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না কোনওদিন।”

সিঙ্গুর অনশনের বর্ষপূর্তিতে রবিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে সিঙ্গুরের কৃষক ও গোটা দেশের জন্য আমি আমার অনশনের লড়াই শুরু করেছিলাম। শক্তির কাছে যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক কর্তব্য ছিল। লড়াইয়ের সেই আগুন এখনও আমার মধ্যে জ্বলছে। আমি কোনওদিন ভয় দেখিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।” উল্লেখ্য, সিঙ্গুরে টাটার কারখানায় জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের জমি অধিগ্রহন নীতির বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, জোর করে জমি নেওয়া যাবে না। কোনওভাবেই কৃষক স্বার্থকে পায়ে ঠেলা যাবে না।

এরপর সিঙ্গুরের বিপুল সঙ্খ্যক মানুষের সমর্থন নিয়ে ৪ ডিসেম্বর অনশনের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্টের তীব্র নিন্দায় পথে নামে ছাত্র-যুব থেকে অশীতিপর বৃদ্ধও। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল টানা দু বছর ধরে লাগাতার চলে আন্দোলন। প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে ২০০৮ সালের অক্টোবরে সিঙ্গুর ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন রতন টাটা। লাগাতার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনের পথ ধরে ২০১১ সালে এরাজ্যে হয় পালাবদল। ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version