তাপমাত্রার (Temperature) পারদ নামায় বঙ্গ জুড়ে এখন শীতের (Winter) আমেজ। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই জকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় বেশ উপভোগ্য এক মরশুম এই মুহূর্তে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। শীতের কাঁচা মিঠা রোদ আর পিকনিকের আনন্দে জমজমাট রবিবেলা। তবে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকদের কপালে। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (National Air Quality Index) মাপ অনুযায়ী, বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া (Victoria), ফোর্ট উইলিয়াম (Fort William), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর (রবীন্দ্র Bharati University Campus), রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarovar) এলাকায় দূষণের (Air Polution) মাপ ধরা পড়েছে অনেকটাই বেশি।

জাতীয় বায়ু গুণমান সূচক (NAQI) কলকাতার যে বায়ু দূষণের (Air Polution) ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে রাতের কলকাতায় কার্যত অ্যালার্ট জারি করা হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে এরোসেল দূষণ ৮% বৃদ্ধি পাবে বলে জানাচ্ছে বোস ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা পত্র। সূর্য পশ্চিমে পাড়ি দিতে না দিতেই কলকাতার বায়ু দূষণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।পরিবেশবিদরা (Environmentalists) বলছেন পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক এখনই নিয়ন্ত্রণ না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন সাধারণত সন্ধ্যার সময় শীতকালে আমোদ প্রমোদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খোলা জায়গায় খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যেভাবে দ্রুতগতিতে বায়ুদূষণ বাড়ছে তাতে বায়ুতে ভাসমান ধূলোকণার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভাইরাসের নানা পার্টিকেল। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার বা বড়সড় রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। সবমিলিয়ে বায়ু দূষণের দিক থেকে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ নতুন বছরে খুব একটা নিশ্চিন্ত জায়গায় থাকতে পারছে না বলেই অভিমত গবেষকদের।
