এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভাঙচুর: সিনিয়র ডাক্তারদের রাতে থাকার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ভাঙচুর হতেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে দিল্লি সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি গোটা ঘটনাটা শুনেছি। জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্তা করা হয়েছে। এ ভাবে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করা, জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা উচিত হয়নি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, রাতে একজন হলেও সিনিয়র ডাক্তার থাকতে হবে।

আরও পড়ুন:নবান্ন যাওয়ার আগেই এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী, খোঁজ নিলেন কিংবদন্তি চিত্র পরিচালকের স্বাস্থ্যের

রবিবার মাঝরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় মহম্মদ ইরফান নামের এক যুবককে নিয়ে আসা হয়। ইরফান হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ইরফানকে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই মৃত্যুর কারণ তথা ডেথ সার্টিফিকেট লেখা গিয়ে গোলমাল শুরু হয়।এমনকি বচসা এতটাই চরমে পৌঁছয় যে হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর চালিয়ে মৃতদেহ নিয়ে চলে যান মৃতের পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী জানান,  “চিকিৎসকরা তাঁদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আমাদের ট্রমা সেন্টারে অন্যতম সেরা। আমি পিজির সুপারকে ফোন করে চিকিৎসকদের জন্য সরি বলেছি।”

রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল মহম্মদ ইরফান নামের এক যুবককে। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা গিয়ে গোলমাল বাধে।

সূত্রের খবর, রোগীর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখার সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। কর্তব্যরত ৪ জন চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় এক্স-রে মেশিনের উপরেও।

উত্তেজনার খবর পেতেই  ঘটনাস্থলে আসে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Previous articleদেশের সম্মান, G-20-র লোগোতে পদ্ম নিয়ে ইস্যু চান না: দিল্লি সফরে আগে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleশিক্ষক বদলিতেও কি ‘দুর্নীতি’ ? প্রশ্ন হাই কোর্টের