Delhi : শুধুমাত্র ‘নিখুঁত সন্তান’ই কি কাম্য! প্রশ্ন তুলে রায়দান স্থগিত আদালতের

এই বিষয়ে শুনানিতে আদালত নিউরোসার্জন (Neurosurgeon), গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist) এবং গর্ভবতী মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন একক-বিচারক বিচারপতি প্রথিবা এম সিং (Justice Prathiba M Singh)।

সব বাবা মা চান ‘সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায় সব দম্পতিরা। কিন্তু যদি কোনও কারণে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে কোনও সমস্যার কথা জানা যায় সেক্ষেত্রে গর্ভপাত (Abortion)করানর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। এইরকমই এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন সমাজের মানসিকতার দিকে। ২৬ বছরের এক মহিলা গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণটির মধ্যে কিছু সেরিব্রাল অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে বলে পরীক্ষায় সনাক্ত করা হয়েছিল। এই বিষয়ে শুনানিতে আদালত নিউরোসার্জন (Neurosurgeon), গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist) এবং গর্ভবতী মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন একক-বিচারক বিচারপতি প্রথিবা এম সিং (Justice Prathiba M Singh)।

২৬ বছরের মহিলা ৩৩ সপ্তাহের গর্ভবতী (Pregnant)। এই অবস্থায় তাঁর গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন চিকিসকেরা। বিচারপতি বলেন বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে ভ্রূণের বিভিন্ন পর্যায় এখন আগে থেকেই সনাক্ত করা সম্ভব। এমনকি আরও অগ্রগতির ফলেভ মানুষ সম্ভবত জেনেটিক পরীক্ষা (Genetic Test) বা এমনকি আইকিউ পরীক্ষা (IQ Test) করতে সক্ষম হবে। তাই অভিভাবকরা কি বলতে পারেন যে তাঁদের আদৌ এ ধরনের সন্তান হবে না, প্রশ্ন করেন আদালত। বিচারপতি সিং ২৬ বছর বয়সী মহিলার গর্ভাবস্থার চিকিৎসা বন্ধ করার আবেদনের শুনানি করছেন। আইনজীবীরা উল্লেখ করেন যে ভারতে অনেক পরিবার এমনকি আল্ট্রাসাউন্ডও করাতে পারে না। সেক্ষেত্রে কি তাঁদের সেই উপায় করে দেওয়া উচিত? প্রশ্ন তোলে আদালত। দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আজ বিচারপতি সিংকে জানায় যে এটি গর্ভাবস্থার উন্নত পর্যায়ের কারণে হাসপাতাল গর্ভপাতের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। হাসপাতালের নিউরোসার্জন এবং গাইনোকোলজিস্টের বক্তব্য মন দিয়ে শোনে আদালত। চিকিৎসকেরা বলছেন এই ধরণের শিশু প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। প্রয়োজনে জন্মের ১০ সপ্তাহ পরে শারীরিক কোনও সমস্যার জন্য অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। কিন্তু জন্মের আগেই সেই শিশুর ‘জীবনের গুণমান’ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন না চিকিৎসকরা। সব শুনে রায়দান আপাতত স্থগিত, আগামিকাল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

 

Previous articleবাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য, এবার পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা কলকাতা পুলিশের
Next articleসাভারকর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা