ম্যাচ জিতে মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন হাকিমি। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে পারফর্ম করার শিক্ষাটা হাকিমি সম্ভবত নিজের জীবন থেকেই পেয়েছেন।

হাকিমিকে ফুটবলার তৈরি করতে একটা সময় মাদ্রিদের রাস্তায় ফেরি করে মালামাল বিক্রি করতেন তাঁর বাবা, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতেন তাঁর মা।
হাকিমির ওই শটে কী ইতিহাস লেখা হলো, সেটা জানেন ? মরক্কো তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তাঁর শটে যে দেশটা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে, হতেই পারত কাতার বিশ্বকাপে সেই স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই হাকিমি। ফ্রান্সের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে একটা ভালো উদাহরণ হতে পারেন এখানে। এই ফুটবলার ফ্রান্সের হয়ে খেললেও, তাঁর নাড়িপোঁতা কিন্তু আফ্রিকাতেই।
হাকিমির জন্মই তো স্পেনে। এমনকি স্পেন যুব দলে ডাকও পেয়েছিলেন। তবে সে ডাকে তিনি সাড়া দেননি। এই বিষয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, ‘বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। আমার মনে হয়েছিল, এটি (স্পেন) আমার জন্য সঠিক জায়গা নয়। মানে আমি বাড়িতে যেভাবে থাকতাম, তেমনটা ছিল না। মরক্কান হওয়ায় আরব সংস্কৃতি আমার আপন ছিল।’
মরক্কোর হয়ে পুরো বিশ্বকাপেই পারফর্ম করেছেন এই রাইট ব্যাক। ক্লাবের হয়ে খেলার সময় শুধু ডান প্রান্তে ফেরারির গতিতে ছুটতে দেখা যেত হাকিমিকে। তবে বিশ্বকাপে তাঁর দলের জন্য তিনি দৌড়েছেন পুরো মাঠজুড়েই।
জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করতে কেন এত মরিয়া থাকেন হাকিমি। সে উত্তর অবশ্য তাঁর কথাতেই পাওয়া যায় ‘ক্লাব ফুটবলে খেলা মানে শুধু একটি শহরের জন্য খেলা। আর দেশের হয়ে খেলা মানে পুরো জাতির জন্য খেলা। এই খেলা মানে পূর্বপুরুষদের জন্য খেলা।’ খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। বর্তমানে খেলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই তথা পিএসজিতে।
