মৃ*ত্যুর নিষ্ঠুরতাও ভাঙতে পারল না ৭৯ বছরের দাম্পত্য

১৯২২ সালের ১৩ জুলাই জন্ম হয় জুনের (June Mallicot),আর হিউবার্টের (Hubert Mallicot) জন্ম ওই মাসেরই ২৩ তারিখ। প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে ইয়েটন রোড চার্চে (Yeaton Road Church)। দুজনেই নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আইসক্রিম খেতে গিয়ে আলাপ।

দুটি মনের মিল একটা সম্পর্ককে ঠিক কতটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে সেটা বুঝতে গেলে জুন ম্যালিকোট এবং হিউবার্ট ম্যালিকোটের (June Mallicot and Hubert Mallicot)গল্পটা জানতে হবে আমাদের। প্রথম দেখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Second World War) সময়। তারপর প্রেম এবং বিয়ে। এরপর একে অপরের হাতে হাত রেখে কাটিয়ে দিয়েছেন ৭৯ টি বসন্ত। সাক্ষী থেকেছেন ফ্যাসিবাদের পতন থেকে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war)। আমেরিকার (America) ওহায়য়োর (Ohayo) বাসিন্দা শতায়ু পেরনো সেই দম্পতি জুন ম্যালিকোট এবং হিউবার্ট ম্যালিকোটের (June Mallicot and Hubert Mallicot) মৃ*ত্যুতেও ভাঙলো না দাম্পত্যের যুগলবন্দি। ৩০ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান হিউবার্ট। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুন।

১৯২২ সালের ১৩ জুলাই জন্ম হয় জুনের (June Mallicot),আর হিউবার্টের (Hubert Mallicot) জন্ম ওই মাসেরই ২৩ তারিখ। প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে ইয়েটন রোড চার্চে (Yeaton Road Church)। দুজনেই নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আইসক্রিম খেতে গিয়ে আলাপ। এরপরেই চার্চে যাওয়ার নাম করে চলতে থাকে দুজনের সাক্ষাৎ ও প্রেম পর্ব। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নৌসেনায় যোগ দেন হিউবার্ট। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে যুদ্ধে যাওয়ার আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন। চার হাত এক হয় ১৯৪৩ সালে। বার্ধক্যের কিনারায় পৌঁছে গিয়েও একে অন্যের হাত ছাড়েননি কেউই।

বর্তমানে দম্পতির তিন সন্তান। তিন ছেলে-মেয়ের রয়েছে ৭ জন নাতি-নাতনি। নাতি-নাতনিদের মোট ১১ জন সন্তান। সব মিলিয়ে ভরা সংসার। চলতি বছরেই দুজনের শততম জন্মদিন পালন হয় ধুমধাম করে। কিন্তু কয়েকদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জুন। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। ২৫ নভেম্বর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন হিউবার্ট। দুজনকে রাখা হয় একই ঘরে। ৩০ নভেম্বর হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন হিউবার্ট। এর ২০ ঘণ্টার মধ্যে চলে যান জুনও। দম্পতির স্মৃতিতে ৬ ডিসেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছেলে স্যাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, একই সঙ্গে বাবা ও মায়ের চলে যাওয়ায় তাঁদের পরিবার হয়তো কষ্ট পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু হয়তো কষ্ট পাওয়া উচিত নয়। কারণ তাঁদের বাবা ও মা একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারতেন না।

 

Previous article১০১৯টি পাস খেলেও মুখ পুড়েছে স্পেনের! সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন এনরিকে
Next articleআই লাভ ইউ টু: দিল্লির পুরভোটে বিপুল জয়ের পর বার্তা কেজরির