সল্টলেক – নিউটাউনে ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এক টাওয়ারের নবম ফ্লোরে কিছুদিন ধরেই একটি ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অস্ট্রেলিয়া (Australia)এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কম্পিউটারে সফটওয়্যার (Computer Software) দিয়ে অ্যাক্সেস নিতেন এই প্রতারকরা।

ফের শহরের বুকে জালিয়াতির পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সেক্টর ফাইভের ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার (Electronics Complex Police Station)পুলিশ । সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, রাউটার, সার্টিফিকেট, অ্যাটেনডেন্স রেজিষ্টার, স্ক্রিপ্ট এবং কাস্টমার ডেটা, এবং রাবার স্ট্যাম্প, ডেবিট কার্ড, চেক বই এবং নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের (Sector v) এক টাওয়ারের নবম ফ্লোরে কিছুদিন ধরেই একটি ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অস্ট্রেলিয়া (Australia)এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কম্পিউটারে সফটওয়্যার (Computer Software)দিয়ে অ্যাক্সেস নিতেন এই প্রতারকরা। এরপরই সেই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে অভিযুক্তরা ফোন করতেন অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের। সেখানে তাঁদের মাইক্রোসফট সংস্থার কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্যে আবেদন জানিয়ে মোটা টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে আবার মঙ্গলবার রাতে একটি ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করল ইকোপার্ক থানার পুলিশ (Eco Park Police Station)। অভিযোগ, একটি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। ফোনে টাকা বিনিয়োগ করলে মোটা অঙ্কের রিফান্ড মিলবে বলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছিল এই প্রতারণার কারবার। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।