শিয়রে বিধানসভা ভোট, মমতা-অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর

শুধু পীযূষ কান্তি বিশ্বাস নয়, এদিন দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রদেশ তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভানেত্রী পূর্নিতা চাকমা। যিনি রাজ্য রাজনীতিতে উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন জনপ্রিয় নেত্রী

বছর ঘুরলেই ত্রিপুরায় হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।দীর্ঘ বাম জমানার পর ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক পালাবদল হলেও মানুষের প্রত্যাশ পূরণে ব্যর্থ বিজেপি। গত পাঁচবছরে উন্নয়ন তো হয়নি, বরং বাম জমানার থেকেও বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সৌজন্যে আরও অধঃপতনে চলে গিয়েছে ত্রিপুরা। রাজনৈতিক হিংসায়, বিরোধীদের উপর হামলার ঘটনায় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য কার্যত জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান তলানিতে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাস পাঁচেক আগে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মালিক সাহাকে বসানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। এ যেন নতুন বোতলে পুরনো মদ।

রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদল ঘটাতে তৎপর বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের আগে নিজেদের সংগঠনকে আরও চাঙ্গা ও মজবুত করছে ঘাসফুল শিবির। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন ত্রিপুরাতে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিযও ছাড়া হবে না। তারই মধ্যে আজ, বুধবার দিল্লিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। পেশায় আইনজীবী পীযূষবাবু অনেক আগেই কংগ্রেসের হাত ছেড়ে ছিলেন। আর ত্রিপুরায় বিরোধী রাজনীতির হেভিওয়েট নেতা এদিন হাতে তুলে নিলেন জোড়াফুলের পতাকা। এমনটাই জানিয়েছেন, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু পীযূষ কান্তি বিশ্বাস নয়, এদিন দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রদেশ তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভানেত্রী পূর্নিতা চাকমা। যিনি রাজ্য রাজনীতিতে উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন জনপ্রিয় নেত্রী। এছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের চারজন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁরা হলেন, অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজন দাস, সমরেন্দ্র ঘোষ ও বিমল রুদ্র পাল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও বড় ভাঙন ধরবে কংগ্রেসে। অন্যান্য দল থেকেও ঝাঁকে ঝাঁকে নেতা-নেত্রীরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

যোগদানকারী নেতানেত্রীরা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় যাওয়ার অনুরোধ করেন। মমতা তাঁদের ভালো করে কাজ করার জন্য বলেন। এবং জানান খুব দ্রুত তিনি ত্রিপুরায় যাবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যোগদানকারী নেতানেত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। তাঁর বার্তা বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে পরাস্ত করে ত্রিপুরায় বাংলার মত উন্নয়নই করতে চায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন- সল্টলেক – নিউটাউনে ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ

Previous articleসল্টলেক – নিউটাউনে ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ
Next articleকোর্ট রুমে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মানিক ভট্টাচার্য