আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৩৫
প্রণব মুখোপাধ্যায়

(১৯৩৫-২০২০) এদিন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষক হিসেবে। দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়া পর্যন্ত তাঁর জীবন উত্থানপতন ও টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। সবাইকে নিয়ে রাজনীতির পথে চলার চেষ্টা করতেন বলে তাঁকে রাজনীতির চাণক্য নামে অভিহিত করা হত। পাঁচবার রাজ্যসভায় গিয়েছেন আর লোকসভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০০৪-২০১২, যা তাঁকে পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

১৯২২
দিলীপকুমার

(১৯২২-২০২১) অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে জন্ম নেন। জন্মকালে তাঁর নাম ছিল মহম্মদ ইউসুফ খান। পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন সবার প্রিয় দিলীপ কুমার। ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ে হয়। ৬৫টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন দিলীপকুমার। দীর্ঘদিন ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন তিনি। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন দিলীপকুমার। এরপর মুঘল-এ-আজম (১৯৬০), দেবদাস (১৯৫৫), নয়া দৌড় (১৯৫৭), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১), কর্মা (১৯৮৬)-র মতো ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।

১৯২৪

সমরেশ বসু

(১৯২৪-১৯৮৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক। কালকূট ও ভ্রমর তাঁর ছদ্মনাম। তাঁর রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা প্রভৃতি ফুটে ওঠে। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস হল উত্তরঙ্গ, গঙ্গা, বিবর, প্রজাপতি, দেখি নাই ফিরে, সওদাগর, কোথায় পাবো তারে, নয়নপুরের মাটি, বাঘিনী, চলো মন রূপনগরে, অমৃত কুম্ভের সন্ধানে, মুক্তবেণীর উজানে, মহাকালের রথের ঘোড়া, শাম্ব, বিটি রোডের ধারে, শ্রীমতী কাফে, অবশেষে ইত্যাদি। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর লেখার টেবিলে ছিল ১০ বছরের অমানুষিক শ্রমের অসমাপ্ত ফসল শিল্পী রামকিংকর বেইজের জীবনী অবলম্বনে উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে’র অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি।

২০১২

রবিশঙ্কর

(১৯২০-২০১২) এদিন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে প্রয়াত হন। সেতারবাদনে কিংবদন্তিতুল্য শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এ-কালে হিন্দুস্থানি ধ্রুপদী সংগীতে যাঁরা সবচেয়ে বেশি নতুন রাগ সৃষ্টি করেছেন, পণ্ডিত রবিশঙ্কর তাঁদের অন্যতম। ২০ বছর বয়সে রবীন্দ্রশঙ্কর চৌধুরী নামটিকে কেটে ছোট করে তিনি করেন রবিশঙ্কর। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের মাইহার ঘরানার স্রষ্টা আচার্য আলাউদ্দিন খাঁর শিষ্য ছিলেন তিনি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ঐতিহ্য ও এ-সংগীতকে পাশ্চাত্যের কাছে তুলে ধরেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পণ্ডিত রবিশঙ্কর নিজেকে তুলে ধরেছেন একজন বৈশ্বিক সংগীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, পারফরমার এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন মেধাবী দূত হিসেবে। রবিশঙ্করের সৃষ্টি যেমন বিপুল, তাঁর অর্জনও তেমনি অপরিমেয়। সংগীতের জন্য গ্র্যামি, ভারতরত্ন— সবই পেয়েছেন।

১৯৪২
আনন্দশঙ্কর

(১৯৪২-১৯৯৯) এদিন আলমোড়ায় জন্ম নেন। উদয়শঙ্কর ও অমলা শঙ্করের ছেলে। সুরস্রষ্টা ও অর্কেস্ট্রাবাদক। গিটারের সঙ্গে মৃদঙ্গ, রক সংগীতের পশ্চাদপটে সেতার বা সরোদের মিলনে সংগীতজগতে অভিনবত্ব আনেন। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেন।

২০০৬

বিনয় মজুমদার

(১৯৩৪-২০০৬) এদিন মারা যান। কখনও দিনের পর দিন নির্বাক। কথা বললে, হাস্যরসের আড়ালে এমন গূঢ় মনস্তত্ত্ব! কবিতা লিখলে তা নিয়ে পাঠকের চেয়ে বেশি শোরগোল কবিমহলে। আবার বছরের পর বছর একটি শব্দও না-লেখার কঠিন জেদ। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী, সদা কম্পমান হাতে হ্যারিকেন জ্বালাতে গিয়ে পরের পর দেশলাই কাঠি নিঃশেষ। অথচ জ্যামিতির উপপাদ্য আঁকার সময় নির্ভুল ৯০ ডিগ্রি কোণ। বাড়ি বয়ে পুরস্কার দিতে এলে দরজা এঁটে স্বেচ্ছাবন্দি তিনি। অথচ নিজেই বেরিয়ে পড়েন জোনাকি, প্রজাপতি, হাঁস, পাখি আর মানুষ দেখতে। জলের মধ্যে মাছের খেলা দেখতে দেখতে শিশুর মতো খিলখিলিয়ে ওঠেন— ‘একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে/ দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে/ পুনরায় ডুবে গেলো—’ সব মিলিয়ে এই ছিলেন ‘ফিরে এসো চাকা’র কবি।

 

 

 

Previous articleফের লাইনচ্যুত মালগাড়ি! বাতিল হাওড়াগামী একাধিক ট্রেন
Next articleফের নামল কলকাতার তাপমাত্রা! উত্তুরে হাওয়ার দাপটে বঙ্গে বাড়ছে শীতের আমেজ