যোগীরাজ্যে চরম অব্যবস্থা! মিথ্যা খু*নের মামলায় জেলের গরাদেই কাটল ৭ বছর

নিজের ছেলেকে নিরপরাধ প্রমাণের জন্য বিষ্ণুর মা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনেক খোঁজাখুজির পর তিনি জানতে পারেন যাকে খুনের দায়ে তাঁর ছেলে জেল খাটছেন, সে স্বামী সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করছে। এরপর মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় একটি সংগঠনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ওই সংগঠনের সাহায্যেই মেয়েটিকে হাথরস থেকে আটক করা হয়।

মন্দিরে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ (Missing) হয়ে গিয়েছিল বছর পনেরোর এক কিশোরী। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর এলাকায় একটি দেহ উদ্ধার হয়। দেহটিকে শনাক্ত করেন মেয়েটির বাবা-মা। এবার সেই নিখোঁজ কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) হাথরসে (Hathras)। তবে কিশোরীবস্থা কাটিয়ে এখন তিনি তরুণী। চুটিয়ে সংসার করছেন। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁর।

অন্যদিকে, তাঁকেই খুনের দায়ে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে জেলের গরাদে এক যুবক! স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর বাবা ধনথাউলি গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুর বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিশ। মেয়েটির বাবা-মা অভিযোগ জানায়, বিষ্ণুকেই সর্বশেষ তাঁদের মেয়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। বিষ্ণুই অপহরণের পর মেয়েকে খুন করেছে। এরপরই বিষ্ণুর বিরুদ্ধে চার্জশিট (Chargesheet) গঠন করে পুলিশ। এরপর কেস আদালতে উঠলে বিচার শেষে আদালত বিষ্ণুকেই দোষী সাব্যস্ত করে ও জেলবন্দির সাজা শোনায়।

তবে নিজের ছেলেকে নিরপরাধ প্রমাণের জন্য বিষ্ণুর মা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনেক খোঁজাখুজির পর তিনি জানতে পারেন যাকে খুনের দায়ে তাঁর ছেলে জেল খাটছেন, সে স্বামী সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করছে। এরপর মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় একটি সংগঠনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ওই সংগঠনের সাহায্যেই মেয়েটিকে হাথরস থেকে আটক করা হয়। তাঁর পরিচয় নির্ধারণ করতে ডিএনএ টেস্ট (DNA Test) করা হবে। স্পেশাল পকসো কোর্ট (Special POCSO Court) তাঁর ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই ওই যুবতীর বাড়ির লোক মামলাটি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন বিষ্ণুর মা।

 

 

Previous articleবিশ্বকাপের রেপ্লিকা নিজের কাছে রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে ফিফা !
Next articleনৈনিতালে বন্ধ রাস্তা, সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হবু বর