OMR শিটে রোল নম্বরটাই ভুল! এসএসসি পাস করে দিব্যি স্কুলে চাকরি করছেন তরুণী

যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষাতেই নিয়ম হল, রোল নম্বর ভুল লিখলে উত্তরপত্র এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং ওই প্রার্থী চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। বেশি নম্বরও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে তিনি নবম-দশমের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত

এসএসসি ও শিক্ষক নিয়োগে কোনও পর্যায়ে দুর্নীতি হয়েছে, তার আরও একটি ছবি সামনে এলো। যা জানলে লজ্জা পেতে হয়! এসএসসি’র লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটে ভুল রোল নম্বর লিখেও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন এক তরুণী। আদালতের নির্দেশে এসএসসি প্রকাশিত ওএমআর শিট থেকেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

আরও পড়ুন:এসএসসিকে ৪০টি ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আনতে বলল হাই কোর্ট

স্কুল সার্ভিস কমিশনে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরতদের ৪০টি নতুন ওএমআর শিট গত, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জমা করা হয়। অভিযোগ, ওই ৪০ জন “ভুয়ো শিক্ষক”। অযোগ্য ওই প্রার্থীরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন। এসএসসি’র পরীক্ষায় সামান্য কিছু উত্তর করে তাঁরা বেশি নম্বর পেয়েছেন। দিব্যি চাকরিও করছেন। বেতনও নিচ্ছেন।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এর আগে প্রকাশিত ১৮৩ জনের পাশাপাশি মঙ্গলবার নতুন করে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। নামের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের রোল নম্বর, ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) এবং মার্কশিট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা এবং উত্তরপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, এক জন চাকরিপ্রার্থী ওএমআর শিটে নিজের রোল নম্বরটাই ভুল লিখেছেন। যিনি উত্তরপত্রে নিজের রোল নম্বরটাই ঠিক লিখতে পারেন না, তিনি আবার শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে ছাত্র পড়াচ্ছেন।

যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষাতেই নিয়ম হল, রোল নম্বর ভুল লিখলে উত্তরপত্র এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। কারণ, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে একটি সিস্টেমে এই উত্তরপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে রোল নম্বর ভুল লিখলে অটোমেটিক তা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং ওই প্রার্থী চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। বেশি নম্বরও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে তিনি নবম-দশমের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৬ সালে স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের (এসএলএসটি) মাধ্যমে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছিলেন এই ৪০ জন। যা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, উত্তরপত্রগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে যে, একটি-দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও অনেকেই ৫০-এর বেশি নম্বর পেয়েছেন। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট, নাম, রোল নম্বর-সহ সবিস্তার তথ্যের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। আর সেখানেই দেখা গেল এমন কাণ্ড!

Previous articleইসলামাবাদের বাজারে বিধ্বংসী আগুন! ভস্মীভূত ৩০০টিরও বেশি দোকান
Next articleগুজরাটে গেরুয়া ঝড়! কংগ্রেসের সঙ্গে হাডাহাড্ডি লড়াই হিমাচলে