“মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা আপনাদের পাশে”! শান্তনুর পাল্টা মতুয়াদের অভয় দিলেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক

বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস আরও বলেন, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ মতুয়াদের বিভ্রান্ত করছেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ উদ্বাস্তু মতুয়াদের সিএএ-এর জুজু দেখিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু মতুয়ারা পরিষ্কার বুঝে গিয়েছে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু তৃণমূল কংগ্রেসই।

বাগদায় (Bagda) এসে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ (Bongaon BJP MP) শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সম্প্রতি মতুয়াদের (Matua) ভয় দেখিয়ে গিয়েছেন। নির্বাচনে জেতার পর বাগদা বিধানসভা এলাকায় তাঁকে না দেখা গেলেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দামামা বেজে যাওয়ার পর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে ভীতির জন্ম দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। আর সেকারণেই শুক্রবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে দেখা করলেন বাগদার বিধায়ক তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস (Bishwajit Das)। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) নির্দেশ মত তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি।

তবে শুধু মতুয়াদের ভয় দূর করাই নয়, তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি দুপুরের খাওয়া দাওয়াও সারেন বাগদার বিধায়ক তথা বনগা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। শুক্রবার বাগদা বিধানসভার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়রামারি গ্রামের বাসিন্দা বাপি বাছারের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সারেন বিশ্বজিৎ। তিনি জানান, নির্বাচন সামনে আসলেই নাগরিকত্ব (Citizenship), সিএএ (CAA) ইত্যাদি নিয়ে মতুয়াদের ভয় দেখান বিজেপি নেতা, মন্ত্রী, সাংসদেরা। সম্প্রতি বাগদায় এসে বনগার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের ভয় দেখিয়ে গেছেন। তাই এদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে সবসময় আছেন। এরপরই তিনি জানান, যারা ভোট দেন আপনাদের ভোটেই দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁরা যদি বৈধ হন, আপনারাও বৈধ। আপনারাও ভারতের নাগরিক। ফলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের সঙ্গে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন।

এদিন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস আরও বলেন, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ মতুয়াদের বিভ্রান্ত করছেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ উদ্বাস্তু মতুয়াদের সিএএ-এর জুজু দেখিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু মতুয়ারা পরিষ্কার বুঝে গিয়েছে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু তৃণমূল কংগ্রেসই।

 

 

Previous articleCMC Update: কনকনে শীতেও মেডিক্যাল কলেজে গনগনে অনশনের আঁচ
Next articleগ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিলল জামিন, সাকেত ইস্যুতে রাজ্যসভায় সরব তৃণমূল